ঢাকা কলাবাগান থেকে নিজ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে বাইসাইকেল চালিয়ে চাদঁপুরে আসলেন ম্যারাথনবিদ ও সাইকেলিষ্ট জিয়াউর রহমান।
১৫ মে শনিবার ভোর ৫টায় কলাবাগান থেকে বাইসাইকেলে একাই রওনা দেন। চার জায়গায় মোট ২ঘন্টার বিরতিসহ মোট ৯ঘন্টা ১৫মিনিটৈ বাইসাইকেল চালিয়ে দাউদকান্দি- মতলব হয়ে চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার আলগী বাজারে পৌঁছাতে সক্ষম হন। মোট ১২৩ কিলোমিটার বাইসাইকেল চালিয়েছেন তিনি।
ম্যারাথনবিদ জিয়াউর রহমান থাকেন ঢাকায় এবং পেশায় শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানীতে একজন বিপনণ কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করছেন। প্রতি বছর পবিত্র ঈদ উদযাপন করে পরদিন চাঁদপুরে তার নিজ গ্রামে বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করার জন্য ছুটে যান।
এ বছর করোনার জন্য বাস এবং লঞ্চ বন্ধ থাকায় যেতে পারবেন না তা কি করে হয় তাই বাইসাইকেল চালিয়ে একটানা ১২৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার উত্তর আলগী নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। তার এই সাহসিকতাকে স্বাগত জানিয়েছেন তার পরিবার, সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনরা।
জানা গেছে, চাঁদপুর হাইমচরের উত্তর আলগী গ্রামের বাসিন্দা মরহুম মাওলানা মাহবুবুর রহমানের ছোট ছেলে জিয়াউর রহমান। পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকার কলাবাগানে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করা এবং বর্তমানে ধানমন্ডিতে শেলটার প্রপার্টি সলুসন নামের একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানীতে হেড অব মার্কেটিং হিসেবে কাজ করছেন।
জিয়াউর বলেন, ৬/৭ বছর দৌড়ের সাথে সম্পৃক্ত আছি। বাংলাদেশ, ভারত, থাইলেন্ড এবং সিঙ্গাপুরে বেশ কিছু ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছি। ইদানিং সাইকেলিং এবং সুইমিং করছি। কারণ সুস্থতা হল মহান আল্লাহর দেয়া সবচেয়ে বড় একটা নেয়ামত। তাই শুধুমাত্র নিজের শরীরটাকে ঠিক রাখার জন্য এগুলি করে থাকি। আর সব সময় আমার পরিবার সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব, ও স্বজনরা এই ব্যাপারে আমাকে ব্যাপক উৎসাহ দিয়ে থাকেন।
বিশেষ করে আমার পরিবার আমাকে রানিং, সাইকেলিং এবং সুইমিং করার জন্য যথেষ্ট সহযোগিতা করে থাকেন। আমার ইচ্ছা আজীবন এগুলির সাথে সম্পৃক্ত থেকে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখা।
স্টাফ করেসপন্ডেট,১৫ মে ২০২১