এ বছর পবিত্র হজ চলাকালে হাজিদের সঙ্গে বাংলাসহ ১৩টি ভাষায় কথা বলবে সৌদি আরবের হজ টিম। সৌদি পাসপোর্ট অধিদফতর জানিয়েছে, এসব ভাষায় হজযাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করবেন তাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা। এই মাঠকর্মীদের কাছে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে পারবেন হাজিরা। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।
১৩টি ভাষার মধ্যে ইংরেজি, স্প্যানিশ, ইন্দোনেশিয়ান, জাপানি, ফার্সি, উর্দু, তুর্কি, পর্তুগিজ ও বাংলা ভাষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।
বহুভাষী কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে জেদ্দার বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
করোনা মহামারির পর এবার প্রথম বারের মতো বিদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানাচ্ছে সৌদি আরব। দেশটির হজমন্ত্রী মোহাম্মাদ আল-বিজাওয়ী রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশন আল-এখবারিয়াকে বলেছেন, ‘মহামারির কারণে দুই বছরের বাধার পর দেশের বাইরে থেকে অতিথিদের গ্রহণ করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।’
এর আগে ২০১৯ সালে পবিত্র হজ পালনে সৌদিতে জড়ো হয়েছিল সাড়ে ২৫ লাখ মুসল্লি। সে বছরের শেষ দিকেই চীনের উহানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দুনিয়াজুড়ে এটি ছড়িয়ে পড়ে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০২০ সালে মাত্র এক হাজার মুসল্লি নিয়ে হজের আয়োজন করে সৌদি সরকার।
করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমে আসায় এবার বিদেশিদেরও হজ পালনের অনুমতি দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এজন্য হজযাত্রীদের করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকতে হবে। ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে।
এ বছর মোট ১০ লাখ মানুষ হজে অংশে নেবেন। এদের মধ্যে সাড়ে ৮ লাখ বা ৮৫ শতাংশই বিদেশি। আর দেড় লাখ সৌদির নাগরিক। হজে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অন্যান্য এজেন্সিগুলোও কাজ করে যাচ্ছে।
বার্তা কক্ষ, ১৯ জুন ২০২২