Home / চাঁদপুর / বাংলাদেশ স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হবে : চাঁদপুরে সচিব কল্লোল
স্মার্ট

বাংলাদেশ স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হবে : চাঁদপুরে সচিব কল্লোল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট শিশুরা ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।

তিনি বলেন, এদেশের শিশুদের চিন্তায় প্রধানমন্ত্রী অনেক বড় কাজ করছেন।

এখন বৈশ্বিক মন্দা যাচ্ছে। তাই শিশুদের চাহিদা নিবারণ করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট শিশুদের নিয়ে তৈরি হবে। আমরা এই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

১৮ ডিসেম্বর রোববার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সম্মৃদ্ধি শিশুর জন্যে এই কর্মসূচি আমাদের বিনিয়োগ। আমরা শুধু টাকাই নয়, আমরা প্রশিক্ষণও দিচ্ছি। মা-শিশুদের সুস্থ ও সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্যে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। মা ও শিশুর সুফলের ব্যাপারে প্রচার-প্রচারণার দরকার আছে।

সচিব বলেন, শিশুদের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করেছি। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কিশোর-কিশোরী ক্লাব আছে। সেখানে শিশু-কিশোররা এসে শিখছে। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানে ক্লাবের সাইনবোর্ড নেই। সাইনবোর্ড থাকা জরুরি। সবশেষে বলবো দেশটি আমাদের। বঙ্গবন্ধুর ডাকে অনেক রক্তের বিনয়েম বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশ স্বাধীন করেছেন।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মনোয়ারা ইশরাত।

মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির পরিচালক রুমিনার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ।

কর্মাশালায় জানানো হয়, গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন যত্ন থেকে শুরু করে শিশুর জন্মের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ১০০০ দিনসহ ৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের উদ্দেশ্যে সরকার এই কর্মসূচি গ্রহণ করে। গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং শহর এলাকার কম আয়ের কর্মজীবী মায়েদের জন্য ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচির একটি সমন্বিত ও উন্নত সংস্করণ।

এছাড়া দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী গর্ভবতী মা ও শুধুমাত্র প্রথম ও দ্বিতীয় (সর্বোচ্চ দু’জন) সন্তানের জন্য এই কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ৩৬ মাস ৮০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। প্রতিমাসে ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি, যত্ন এবং শিশুর পুষ্টি, মনো-সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ বিষয়ে নিয়মিত উঠান বৈঠক হচ্ছে।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি বিভিন্ন দফতর, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২