‘প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ প্রতিপাদ্যে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপি উদ্যাপিত হচ্ছে ‘বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস’। স্কাউটিং হলো একটি আন্দোলন, যার কাজ আনন্দের মধ্য দিয়ে শিক্ষাদান। যে শিক্ষার ফলে একজন ছেলে বা মেয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। ১৯০৭ সালে রবার্ট স্টিফেনসন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল সংক্ষেপে বি.পি এ আন্দোলনের শুরু করেন।
দেশের শিশু, কিশাের ও যুবদের স্কাউটিং পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মনির্ভরশীল, সৎ, চরিত্রবান, দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তােলার লক্ষ্যে স্কাউটিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে ২২ লাখ স্কাউট সদস্য নিয়ে বাংলাদেশ স্কাউটস সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদ্যাপন করছে। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। ১৯৭২ সনের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে স্কাউটিংয়ের সূচনা দিবস হিসেবে এ বছর থেকে ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে বিশ্ব স্কাউটস সংস্থার ১০৫তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল ‘বাংলাদেশ স্কাউটস সমিতি’।
১৯১৪ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতীয় শাখার অংশ হিসেবে এ জনপদে স্কাউটিং শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ‘ইস্টবেঙ্গল স্কাউট অ্যাসোসিয়েশন’ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে ‘বাংলাদেশ বয় স্কাউট অ্যাসােসিয়েশন’ গঠন করা হয়।
একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় এ স্কাউট সংগঠনকে স্বীকৃতি দেন। ১৯৭৮ সালে বয় স্কাউট সমিতির নাম বাংলাদেশ স্কাউটস নামকরণ করা হয়। মেয়েদের সুযোগ দেওয়ার জন্য ১৯৯৪ সালে গার্ল-ইন স্কাউটিং চালু করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটসের সদস্য ২২ লাখ ১০ হাজার। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম স্কাউট বাংলাদেশ।
স্কাউটদের মূলমন্ত্র হচ্ছে: কাব–যথাসাধ্য চেষ্ট করা; স্কাউট–সদা প্রস্তুত; এবং রোভার–সেবাদান। স্কাউটদের আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সৎ, চরিত্রবান, কর্মোদ্যোগী সেবাপরায়ণ, সর্বোপরি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্কাউটস কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ আর্থসামাজিক অবস্থা ও মূল্যবোধ অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতি গঠনে স্কাউট আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিহার্য। তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ স্কাউটস
১ এপ্রির ২০২৩
এজি