সৌদি আরবের রিয়াদে হলিডে ইন হোটেলে বুধবার (১৪ মার্চ) ১২তম বাংলাদেশ সৌদি আরবের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক শুরু হয়েছে।
দুদিনব্যপি এই বৈঠকে দুদেশের শ্রম, অর্থ, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, শুল্ক, বিমান পরিবহন, কৃষি, শিক্ষা, আন্তর্জাতিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা জোরদারের লক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম এর নেতৃত্তে ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশগ্রহন করে।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার বৈঠকে অংশ নেন। এ সময় দুতাবাসের কর্মকর্তাগণ ও উপস্থিত ছিলেন। যৌথ কমিশনের বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সকালে যৌথ কমিশনের উদ্বোধনী আলোচনায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভাতৃত্তময় সম্পর্ক রয়েছে যা যৌথ সংস্কৃতি, ধর্ম, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এখন ধারাবাহিক, বিগত কয়েক বৎসরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ অর্জিত হয়েছে যা গত বৎসর ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। সচিব বলেন বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে।
কাজী শফিকুল আজম সৌদি আরবে প্রশিক্ষিত জনশক্তি নিয়োগ দেয়ার লক্ষে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আহবান জানান। তিনি আইটি, প্রকৌশলী, হিসাবরক্ষণ ও ব্যাংক খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের অনুরোধ জানান। সচিব উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার জন্য দুদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন।
যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে শ্রম সংক্রান্ত বিষয় ও সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয় সমূহ আলচিত হয়। সৌদি আরবের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ও অন্যান্য সংস্থার মোট ২৬ জন প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দেন। আগামী দিনে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
প্রতিবেদকদ- সাগর চৌধুরী, সৌদি আরব