‘বাবা জানো, আমাদের একটা ময়না পাখি আছে না, সে আজকে আমার নাম ধরে ডেকেছে, আর এ কথাটা না মা কিছুতেই বিশ্বাস করছে না, আমি কী তাহলে ভুল শুনেছি, কেমন লাগে বলো তো’
জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) নির্বাচনের দিন ছিলো গত ২১ জুলাই (শুক্রবার)। এদিন দুপুর দুইটা থেকে সাধারণ ভোটারদের ভোটপ্রদান অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আর ভোটকেন্দ্রের কাছেই এসে উপস্থিত হন শিশু অভিনেত্রী দীঘি। আর সাথে সাথেই ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ঝলসে উঠতে থাকে। কেননা ছোট্ট দীঘি আর ছোট্ট নেই। অনেক বড় হয়ে গেছেন। দীঘির এই ছবিটি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে তুলেছেন আলোকচিত্রশিল্পী রিয়াজ আহমেদ।
দীঘির পুরো নাম প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। দীঘি বর্তমানে রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ছেন। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পুরোদমে অভিনয়ে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
দিঘির মা চিত্রনায়িকা দোয়েলের মৃত্যুর পর সিনেমাতে খুব একটা অভিনয় করেননি তিনি। আলোচিত এই অভিনেত্রী জানান, ‘পড়াশোনার মাধ্যমে মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চান।
দিঘি বলেন, ‘আপাতত পড়াশোনা নিয়েই থাকতে চাই। আমাকে নিয়ে মায়ের অনেক স্বপ্ন ছিল। পড়াশোনার মাধ্যমে মায়ের স্বপ্ন পূরণ করব।’ দিঘি স্বল্প সময়ে প্রায় ৩৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ৩৪টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ২০০৬ সালে কাবুলিওয়ালা, ২০১০ সালে চাচ্চু আমার চাচ্চু, ২০১২ সালে এক টাকার বউ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন দিঘি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো শিশুশিল্পী এতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি। আর এত বেশি জনপ্রিয়তাও পাননি। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি সমানতালে তিনি সময় বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবেও পর্দায় তার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে ৩৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অধিকাংশ ছবিই ব্যবসা সফল। এর মধ্যে ৩৪টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ২০০৬ সালে ‘কাবুলিওয়ালা’, ২০১০ এ ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ এবং ২০১২ সালে ‘এক টাকার বউ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন দীঘি।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ৩: ৫০ এএম, ২৫ জুলাই ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ