নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) বাড়ছে দ্রুতগতিতে। এতে রেমিট্যান্স আহরণে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় গত বছর বাংলাদেশের এক ধাপ উন্নতিও হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ নম্বরে। আর দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়। ২০১৮ সালে রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯ নম্বরে। ওই বছর ১৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করে এই অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। প্রায় একই পরিমাণ রেমিট্যান্স আহরণ করে অষ্টমে ছিল ভিয়েতনাম। কিন্তু ২০১৯ সালে ভিয়েতনামকে টপকে অষ্টম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ২০১৯ সালে। যার পরিমাণ এক হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলার। করোনা মহামারির মধ্যে চলতি বছরও বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বাড়ছে আশানুরূপ গতিতে। এতে ২০২০ সালে তালিকায় উন্নতি না হলেও এই অষ্টম অবস্থান ধরে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে এক বিলিয়ন ডলার কম রেমিট্যান্স আহরণ করে অষ্টম থেকে অবনমন হয়ে নবমে গেছে ভিয়েতনাম। দেশটি গত বছর ১৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। আর ১৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করে দশম অবস্থানে রয়েছে ইউক্রেন।
জিডিপির অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়ানো জাতিসংঘ নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমানো এবং প্রবাসী শ্র্রমিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার খরচ কমানোও এসডিজির লক্ষ্য। বাংলাদেশ এই খরচ কমিয়ে আনতে রেমিট্যান্স প্রেরণের ওপর গত বছরের জুলাই থেকে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। এতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় এক হাজার ৫৫০ কোটি (১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্সের বর্তমান গতিপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে পুরো বছরে ১৮ থেকে ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাবে বাংলাদেশ।
বার্তাকক্ষ, ০৪ অক্টোবর,২০২০;