করোনার সংক্রমণ বিবেচনায় ভ্রমণের গন্তব্য হিসেবে নতুন করে ছয়টি দেশকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ অভিহিত করে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)। এই তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় তিন স্তরবিশিষ্ট তালিকা করেছে সিডিসি। এর মধ্যে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণকে স্তর ৩, মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণকে স্তর ২ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণকে স্তর ১ বলা হয়েছে। বাংলাদেশ এই তালিকায় স্তর ৩-এর মধ্যে রয়েছে।
সিডিসি জানিয়েছে, ২৫ জুলাই পর্যন্ত বিশ্বের ১২০টি জায়গা স্তর ৩, অর্থাৎ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় ছিল। এর মধ্যে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, পোল্যান্ড, ফিজি, এল সালভাদর, হন্ডুরাস ও বাংলাদেশকে গতকাল সোমবার নতুন করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৮ দিনে যেসব দেশে প্রতি ১ লাখের মধ্যে ১০০ জনের বেশি মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, সেসব দেশ ভ্রমণের জন্য ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সিডিসি জানিয়েছে, ২৩৫টি জায়গাকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, যার মধ্যে অর্ধেকই করোনার জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ।
এ তিনটি স্তর ছাড়াও স্তর ৪ নামে আরেকটি ‘সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ বিভাগ রেখেছে সিডিসি। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্তর ৪ তালিকাভুক্ত করা হয়নি কোনো স্থানকে।
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল, স্পেন, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশ রয়েছে।
মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় ২০টিরও কম দেশ রয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচটি দেশ কম ঝুঁকিপূর্ণ থেকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় উঠে এসেছে। দেশ পাঁচটি হচ্ছে গিনি, ভারত, মলদোভা, ফিলিপাইন ও টোগো।
অন্যদিকে কম ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে ৩০টি দেশ। এর মধ্যে এ সপ্তাহে নতুন করে যুক্ত হয়েছে দুটি দেশ—অ্যাঙ্গোলা ও কোমোরোস।
এ ছাড়া ‘অজানা ঝুঁকিপূর্ণ’ আরও একটি তালিকা করেছে সিডিসি। মূলত যেসব দেশ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি, সেসব দেশকে এ তালকায় রাখা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে ৫৬টি দেশ। এর মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ডোমিনিকা ও ইথিওপিয়া।
বার্তা কক্ষ, ২৬ জুলাই ২০২২