অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বুধবার দিনশেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৪২৩ কোটি (৩৪.২৩ বিলিয়ন) ডলার।
প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে আট মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।
কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের জরুরি সহায়তা রিজার্ভে যোগ হওয়ায় এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাড়ায় রিজার্ভে এই উল্লম্ফন হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
৩ জুন বুধবার রাতে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের এই মহাসংকটের সময় আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়ানো একটি খুবই ভালো খবর। রিজার্ভের এই উল্লম্ফন আমাদের সাহস জুগিয়েছে। আমরা সাহসিকতার সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করতে পারব বলে আশা করছি।’
২ জুন মঙ্গলবার দিনশেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। বুধবার আইএমএফের ৭৩ কোটি ২০ লাখ এবং চলতি জুন মাসের দুই দিনে (১ ও ২ জুন) ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিটেন্স যোগ হওয়ায় রিজার্ভ ৩৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে।
অর্থনীতি প্রতিবেদক, ৪ জুন ২০২০