বাংলাদেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, বাহরাইন এবং মরিশাসেও পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে মোদী সরকার। তবে পেঁয়াজ রফতানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে সরকারিভাবে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় উদ্দেশে এসব দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
এর আগে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি ও পেঁয়াজের অনুমতি দিতে ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয় নিজ দপ্তরে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের জানান, রোজার আগেই ভারত থেকে দেড় লাখ টন চিনি ও পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। এর মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি।
তিনি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। ভারত সফরে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে আশ্বস্ত হয়েছেন। আশা করি, আগামী সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের (২২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে আমরা একটি ভালো খবর পাবো। কীভাবে, কবে থেকে আমদানি করব, সেসব বিষয় অনুমোদন পেলেই জানাতে পারবো।
এক্ষেত্রে ভারতের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ১৪ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মানিতে থাকায় বৈঠকটি হতে একটু দেরি হচ্ছে। আশা করছি, সোম থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোনো এক সময় তারা বৈঠকে বসবেন।
বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।
রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত।
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur