শারিরীক সৌন্দর্য্যকে পুঁজি করে অনেক সুন্দরী রমণী এমনকি বাংলাদেশের অনেক নায়িকা, মডেলও দেহব্যবসায় জড়িত। আর দেহব্যবসার মাধ্যমে রাতারাতি তারা লাখপতি ও কোটিপতি বনে গেছেন। কেউ কেউ নামে বেনামেও করছে ব্যাংক ব্যালেঞ্চ, জমি জমা, মনোরম ফ্ল্যাট এমনকি আলিশান বাড়ি। থাকেন রাজধানীর ব্যয়বহুল আলিশান এ্যাপার্টমেন্টে।
অভিযোগের তালিকায় রয়েছে ফিল্ম সোসাইটির কিছু বি ক্যাটাগরির নায়িকা, টিভি নাটকের অভিনেত্রী ও কিছু মডেলদের বিরুদ্ধে। রাজধানীর গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি এলাকার মধ্যে ফ্ল্যাট কিংবা আলিশান অফিসগুলোসহ পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে চালাচ্ছে তাদের দেহব্যবসার রমরমা বাণিজ্য।
কেউ কেউ আবার ভিআইপিদের সাথে অনুষ্ঠানের নাম করে পাড়ি দিচ্ছেন দেশের বাহিরে। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চলে তারা। যার সুবাদে তারা নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের অবৈধ দেহ বাণিজ্য।
মাঝে মধ্যে কিছু আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে কিছু পেশাদার পতিতাদের গ্রেফতার করে প্রশাসন তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করে। এছাড়াও এসকল নায়িকা মডেলদের সাথে রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী সহ আন্ডারওয়াল্ড গডফাদারদের সাথে গভীর যোগাযোগ। মাঝে মধ্যে কাউকে ডিষ্টার্ব মনে করলে তারা এসকল সন্ত্রাসী গডফাদারদের ব্যবহার করে তাদের হত্যা, গুম করার ষড়যন্ত্র করে। উক্ত নায়িকা মডেলদের আয়ের উৎস ও সম্পদের বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান চলছে।
শমী কায়সার
শমী কায়সার বেশ কিছুদিন থেকে অভিনয়ের বাইরে আছেন। একসময়ে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন শমী কায়সার। শমী কায়সার তার অভিনয় জীবনে সবচেয়ে আলোচিত হন সেক্স স্ক্যান্ডালের কারণে। কলকাতার রিঙ্গোকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। তাদের গোপন ভিডিও বাজারে আসে ২০০৩ সালের দিকে। এসময় সিডি তৈরি করে ব্যবসা করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
সাদিয়া জাহান প্রভা:
জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা যখন দেশের শীর্ষ মডেল ও অভিনেত্রী, ঠিক সেই সময়েই তার একটি ভিডিও ফুটেজ বাজারে ছাড়েন তার সেই সময়ের হবু বর রাজীব। মুহূর্তেই তা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজীব এবং প্রভার বিয়ে পারিবারিকভাবেই চূড়ান্ত হয়েছিলো। সব ঠিকঠাক এগুচ্ছিলোও। তাই অনেকটা দাম্পত্য জীবনের মতোই ছিলো তাদের সম্পর্ক। কিন্তু এর মাঝে অভিনেতা অপূর্বর সাথে প্রভার মনদেয়া নেয়া হলে প্রভা পালিয়ে অপূর্বকে বিয়ে করে বসেন। এরপরই প্রতিহিংসার বশে রাজীব তার হবু স্ত্রী প্রভার একান্ত সময়ের কিছু ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন। প্রভার পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছিল। এ নিয়ে তুমুল বিতর্কে পরেন প্রভা। অপূর্বর সাথেও সংসার ভেঙ্গে যায়। ক্যারিয়ারে ধস নামে। দীর্ঘ ২ বছর মিডিয়া থেকে আড়ালে ছিলেন তিনি।
পপ তারকা মিলা:
জনপ্রিয় পপ শিল্পী মিলা’র ক্যারিয়ার শুরু হয় গানের মাধ্যমেই। পরে অবশ্য বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও মডেলিং করেন এই পপ তারকা। কিন্তু ক্যারিয়ারের জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করেই তার নাম চলে আসে ভিডিও স্ক্যান্ডালের তালিকায়। ইন্টারনেটে ‘মিলা’ নামে একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ৩৩ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওটিতে মাতাল অবস্থায় থাকা তরুণীর চিত্র রয়েছে। এ ঘটনার কয়েকমাস পর মিলা এ বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, প্রকাশিত ভিডিও চিত্রের মেয়েটি তিনি নন। এটি আসলেই মিলা কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে স্ক্যান্ডাল থেকে রক্ষা পাননি তিনি।
নাদিরা নাছিম চৈতি:
আপত্তিকর ভিডিও চিত্র প্রকাশ হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই পরের বছরই মডেল ও উপস্থাপিকা চৈতির একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ হয়। নির্মাতা এনামুল কবির নির্ঝরের সাথে এই ভিডিওতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় চৈতিকে। ভিডিওটি মোবাইলে ধারণ করা হয়েছিলো। এই আপত্তিকর ভিডিও চিত্রটি প্রকাশের পরপরই তুমুল সমালোচনার মধ্যে পড়েন চৈতি। এ ঘটনা মিডিয়া অঙ্গনসহ সাধারণ মহলেও বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর অনেক দিন মিডিয়ায় দেখা যায়নি এই তারকাকে।
অরুণ চৌধুরী
নাট্যকার ও সাংবাদিক অরুণ চৌধুরীকে জড়িয়ে একটি ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ে। একটি অফিস কক্ষে গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত এই ভিডিওতে কথিত অরুণ চৌধুরীর সাথে যে নারীটিকে দেখা গেছে সেই নারীটি মডেল বিন্দু বলে বিভিন্ন যায়গায় প্রচার হয়। ভিডিওর ব্যক্তি অরুণ চৌধুরী নয় বলে দাবি করেন স্ত্রী চয়নিকা চৌধুরী। পরে শোনা গেছে অরুণ চৌধুরী এর কারণে চাকুরী হারিয়েছেন।
ইভা রহমান:
সঙ্গীতশিল্পী ইভা রহমানের নামে একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ভিডিও চিত্র প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়। ভিডিও দৃশ্যে দেখা যায়, একটি হোটেল কক্ষে এক বিদেশীর সাথে সেক্স করছেন ইভা রহমানের মতো দেখতে এক নারী। ইভা রহমান অবশ্য জোর গলায় এটিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন।
নোভা:
মডেল অভিনেত্রী নোভার নামও জড়িয়ে পরে ভিডিও স্ক্যান্ডালে। ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময়ে একটি ভিডিও ফুটেজ বিতর্কে ফেলে দেয় এই তারকাকে। ২০১০ সালে তার নামে একটি অর্ধ বিবসনা ফুটেজ ছড়িয়ে পরে। যা এ তারকাকে স্ক্যান্ডালের তালিকায় ফেলে দেয়। যদিও ফুটেজটির মেয়েটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি:
ভিডিও স্ক্যান্ডালের সাথে জড়িয়ে পরে বাংলাদেশের জনপ্রিয় মডেল অভিনেতা তিন্নি-হিল্লোল জুটি। একটি হোটেল কক্ষে তরুণ-তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ দুজনের নামে ছেড়ে দেয়া হয় বাজারে। ভিডিওটির পাত্র-পাত্রী হিসেবে চলে আসে এ জুটির নাম। এই ভিডিওটির সত্যতা মেলেনি। কিন্তু সমালোচনার হাত থেকে রেহাই মেলেনি এই তারকা-জুটির।
আনিকা কবির শখ:
জনপ্রিয় মডেল আনিকা কবির শখের নামে একটি ভিডিও ফুটেজ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে। ভিডিও ক্লিপটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই এটি নানাভাবে ছড়িয়ে পরে সর্বত্র। ভিডিওতে বিবসনা নারীটি আসলেই শখ কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর শখের ক্যারিয়ার ইমেজে দর্শকদের নেতিবাচক বার্তা পৌছায়।
বিদ্যা সিনহা মীম:
লাক্স সুপারস্টার জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম বেশ ক্লিন ইমেজ নিয়েই মিডিয়ায় ছিলেন। কিন্তু এতে বাধা হয়ে উঠে একটি আপত্তিকর ভিডিও ফুটেজ। গত বছর এক বিদেশি ক্রিকেটারের সাথে আপত্তিকর দৃশ্যের এ ফুটেজ প্রকাশ হয়। এনিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে এটা আসলেই তারকা বিদ্যা সিনহা মিম কিনা তা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেন।
মেহজাবিন:
বাংলাদেশের সেক্স স্ক্যান্ডালের সর্বশেষ বলি উঠতি তারকা মেহজাবিন। কিছুদিন আগে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে মেহজাবিনের নামে এক পর্নো ক্লিপ। মেহজাবিন অবশ্য জানিয়েছেন, এটি স্রেফ ভাইরাস। তার বিরুদ্ধে শত্রুতা করে কে বা কারা তার নামে এই অপপ্রচার চালিয়েছে।
সারিকা:
ভিডিও স্ক্যান্ডালের ফাঁদে পড়তে হয়েছে জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সারিকাকেও। ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ওয়েব সাইটে সারিকার নামে একটি পর্ণো ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয়। এই ভিডিও চিত্রটিও সেলফোন, মনিটরে ঘুরে ঘুরে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে প্রকাশিত ভিডিওর নারী চরিত্রটি সারিকা নয় বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা দাবি করেছেন।
পরশী:
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী পরশীও রেহাই পায়নি এই সাইবার ক্রাইম থেকে। ভিডিও স্ক্যান্ডালের শিকার হতে হয়েছে তাকেও। পরশীর নাম ব্যবহার করে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। যদিও ভিডিওর মেয়েটির পরিচয় জানা যায়নি।
বিন্দু:
নাট্যকার ও সাংবাদিক অরুন চৌধুরীকে জড়িয়ে একটি ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ে। আর এর সাথে যুক্ত হয় জনপ্রিয় তারকা বিন্দুর নাম। একটি অফিস কক্ষে গোপন ক্যামেরায় ধারনকৃত এই ভিডিওতে কথিত অরুন চৌধুরীর সাথে যে নারীটিকে দেখা গেছে সেই নারীটি মডেল বিন্দু বলে বিভিন্ন যায়গায় প্রচার হয়। এটিকে বিন্দুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলেও দাবি করেন তার নিকটজনরা।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫