সৌদি ওজার ও সাদসহ বিভিন্ন কোম্পানির বাংলাদেশী শ্রমিকদের সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন রিয়াদস্হ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। কয়েক হাজার শ্রমিক দীর্ঘ দিন বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিলেন।
এসকল শ্রমিকদের বেতন ভাতা আদায়ে সার্বক্ষনিক কাজ করছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ । সৌদি ওজার কোম্পানীর বাওয়ানি ক্যাম্পে ২৫০ জন বাংলাদেশী রয়েছেন বলে শ্রম কাউন্সেলর সরোয়ার এ আলম জানান, সৌদি ওজার সৌদি আরবের একটি বৃহত কোম্পানি ।
এ কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় এক হাজার সাত শত । এখানে অনেকেরই সাত/আট মাসের বেতন বাকী রয়েছে । অনেকের ভিসা এবং স্বাস্হ্য বীমার মেয়াদ শেষ হওয়াতে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন না ।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে । বেতন ভাতা আদায়সহ কর্মস্হল পরিবর্তনের জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে আমরা সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছি ।
ইতিমধ্যে তাদের খাবার এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে দূতাবাস তৎপর রয়েছে । তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য আলাদা আলাদা ফাইলে মামলা করা হচ্ছে । যাতে সৌদি সরকার ঘোষিত বিনা খরছে কর্মস্হল পরিবর্তন ও ভিসা নবায়ন করা যায় ।
রমজানের শুরুতে দাম্মামের সাদ কোম্পানতি এই সকল সমস্যা দেখা দিয়েছিল । সেখানে ১৪৪ জন বাংলাদেশী রয়েছেন । এদের মধ্যে ২৬ জন বয়োবৃদ্ধ এবং অসুস্হ্য আছেন । তাদের চিকিৎসা সেবা দানে সরকারি সাহায্য পৌছে দেওয়ার ব্যাবস্হা করা হয়েছে । রমজান থেকেই সেখানে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাস কাজ করে আসছে ।
এদিকে যথাসময়ে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি। সতর্কবানী উচ্চারণ করে শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ বলেছেন, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে দেরি হলে সমস্যার সৃষ্টি হবে এবং তা কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা ও ঐক্যকে প্রভাবিত করবে।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়, মুফতি বলেছেন, ‘দেরি করে বেতন দেওয়া অন্যায়। এটা তাদের (কর্মচারী) এবং তাদের পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্হ করবে।’
‘ঘাম শুকানোর আগে মজুরের মজুরি দাও’-হযরত মুহাম্মদ(সঃ)’-এর এই বানীও স্মরণ করিয়ে দেন আল শায়খ।
[author image=”https://chandpurtimes.com/wp-content/uploads/2015/11/sagor-chowdhury1.jpg” ] প্রতিবেদক- সাগর চৌধুরী, সৌদি আরব করেসপন্ডেন্ট [/author]
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur