বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন ব্লগার হত্যার ঘটনায় দেশ এবং দেশের বাইরে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জীবন নাশের হুমকিতে আছেন এমন ব্লগারদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিতে পারে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে আভাস দেয়া হয়েছে।
বুধবার রাতে ঢাকায় তরুণ ব্লগার নাজিম উদ্দিন সামাদকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র মার্ক সি টোনার জানান, হুমকিতে থাকা বাংলাদেশি ব্লগারদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। সেসময় নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। সামাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থনের আশ্বাস ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বাংলাদেশি ব্লগারদের মানবিক আশ্রয় প্রদানের আহ্বান জানিয়েছিল।
গেল বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমউদ্দীন সামাদ হত্যাকাণ্ডের পরপরই এমন খবর এল। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী নাজিম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন।
নাজিমের আগে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্লগার ও বিজ্ঞান মনস্ক লেখক অভিজিৎরায়, একই বছরের মার্চে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু, মে মাসে সিলেটে মুক্তমনার ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ, তার তিন মাস না পেরোতেই আরেক ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়,
অক্টোবরে অভিজিতের বইয়ের প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৫:০৬ এএম, ৯ মার্চ ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ