Home / আন্তর্জাতিক / প্রবাস / বাংলাদেশি নেয়া বন্ধে মালয়েশিয়ায় উদ্যোক্তাদের অসন্তোষ
বাংলাদেশি নেয়া বন্ধে মালয়েশিয়ায় উদ্যোক্তাদের অসন্তোষ

বাংলাদেশি নেয়া বন্ধে মালয়েশিয়ায় উদ্যোক্তাদের অসন্তোষ

বিদেশি কর্মী নিয়োগ স্থগিতের সরকারি সিদ্ধান্তে এবার উষ্মা জানিয়েছে মালয়েশিয়া অ্যামপ্লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। দেশটির মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতার কথা জানান দিল শিল্পো উদ্যোক্তাদের এ সংগঠন। অনেকে বলছেন, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে চুক্তির পরদিন এ ঘোষণা অনাকাঙ্ক্ষিত। অবিলম্বে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তারা।

সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শামসুদ্দিন বারদার বুধবার দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এ নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ থেকেও কর্মী আনা বন্ধ হয়ে পড়বে। এতে স্থানীয় শিল্প-কারখানা মালিকদের কাছেও বিভ্রান্তিকর বার্তা যাবে। উদ্যোক্তারা এও ভাবতে পারেন যে, সিদ্ধান্ত নিতে দোদুল্যমানতায় ভুগছে সরকার।

বাংলাদেশ থেকে ৩ বছরে ১৫ লাখ কর্মী নিয়োগে সমঝোতা চুক্তি সইয়ের একদিন পর দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. আহমেদ জাহিদ হামিদি বিদেশি নেয়া স্থগিতের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার আগের দিন ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফরে এসে কর্মী নিয়োগে জিটুজি প্লাস সমঝোতা চুক্তি সই করেন বাংলাদেশের বৈদেশিক বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্দ রায়ত জায়েম।

সরকারি এ ঘোষণার পরদিন কুয়ালালামপুর ফিরে এক বিবৃতিতে রিচার্দ জায়েম জানান, বিদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের ঘোষণা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার চুক্তিতে প্রভাব ফেলবে না ।

নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে বিদেশি কর্মী নিয়োগে যেসব শিল্প উদ্যোক্তা অনাপত্তি নিয়ে রেখেছেন তাদের নতুন শ্রমিক আনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়া অ্যামপ্লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক শামসুদ্দিন বারদার।

তিনি বলেন, নতুন কর্মী নিয়োগে অনেক শিল্পোদ্যোক্তা ইতোমধ্যে সরকারের কোষাগারে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে কর্মী আনার প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় বিদেশি কর্মী নিয়োগে সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে পুরো প্রক্রিয়া পিছিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন অ্যাসোসিয়েশনের এ নেতা।

শামসুদ্দিন বারদার বলেন, বিদেশি কর্মী নিয়োগে সরকার নিজের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকলে উৎপাদন খাত বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। নির্মাণ, প্লানটেশনসহ বেশ কয়েকটি খাতে প্রচুর জনবল দরকার জানিয়ে এ নেতা বলেন, শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন না করা পর্যন্ত কায়িক শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত বেশি সময় ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না। ২০২০ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা বিঘ্নিত হবে বলেও সতর্ক করে দেন শিল্পো উদ্যোক্তাদের এ নেতা।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১১:১২ অপরাহ্ন, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, বুধবার

এমআরআর