ক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে বাংলাদেশি দম্পতি হত্যার ঘটনায় তাদের দুই ছেলেকে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর দুই ভাই হাসিব বিন গোলাম রাব্বি, ২২, ও ওমর বিন গোলাম রাব্বি, ১৭ ওকল্যান্ডে একটি এনিমে কনফারেন্সে যোগ দেয়।
তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে বাবা গোলাম রাব্বি,৫৯ ও মা শামীমা রাব্বি,৫৭, কে হত্যার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো।
হত্যার পাঁচ দিন পর আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতদের কাছে তা জানাজানি হয়।
ওই সময় মরদেহর কাছে একটি চিরকূট পাওয়া যায়। যাতে লেখা ছিলো: ‘দুঃখিত আমার প্রথম হত্যাটি বেশ আনাড়ি হয়ে গেলো’ আরেকটি নোট লেখা ছিলো দেয়ালে। এতে লেখা ছিলো, “আমি তোমাদের মতো মিথ্যা বলতে পারবো না, আমি তাদের না বলে কাউকে ভালোবাসতে পারবো না’।
আত্মীয়রা জানান, তারা যখন এই দম্পতির খোঁজ না পেয়ে দুই ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তখন জানতে পারেন, তারা ওকল্যান্ডে চলমান এনিমে সম্মেলন ক্র্যাকেন কনফারেন্সে রয়েছে। আদালতের নথিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, তারা ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের পরপরেই ছোট ছেলে ওমরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, কিন্তু হাসিব গত বুধবার রাত পর্যন্ত লাপাত্তা ছিলো।
পুলিশ আগেই বলেছিলো, রাব্বি দম্পতির হত্যাকারী তাদের পরিবারের পরিচিত কেউ হবে।
লস এঞ্জেলসের স্যান জোসেতে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গত রোববার শামীমা ও গোলাম রাব্বির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বড় ছেলে হাসিব এরই মধ্যে তার বাবাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে বলে আদালতের নথিতে বলা হয়েছে। তবে সে বলেছে, কোনও এক আগন্তুক তাদের বাড়িতে ঢুকে তাকে দিয়ে কাজটি করিয়েছে।
মায়ের কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা সে জানে না বলে দাবি করেছে হাসিব। আর নিজের ছোটভাই ওমরকে নির্দোষ বলেও উল্লেখ করেছে।
আর ওমর পুলিশকে বলেছে, হাসিব তার বাবাকে গুলি করার পর সে দ্রুত ঘরের পর্দাগুলো নামিয়ে দেয় এবং পরে মাকে হত্যা করে।
পুলিশকে সে আরও জানায়, বাড়ির গ্যারেজে বড় ভাই তাদের বাবাকে হত্যা করার পর গ্যারেজের দরজা বন্ধ করে রাখে যাতে রক্ত গড়িয়ে বাইরে যেতে না পারে। এরপর দুজনই ওই সম্মেলনে চলে যায়।
বাড়ির দেয়ালের লেখাটি ওমরের হাতের লেখার সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান এই মামলার আইনজীবীরা।
দুই ভাইকেই আটক করে রাখা হয়েছে। (বাংলানিউজ)
দুই ভাইকেই আটক করে রাখা হয়েছে। (বাংলানিউজ)
নিউজ ডেস্ক : ৪:৩৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ