আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশিদের জন্য আবার বন্ধ কুয়েতের শ্রমবাজার

.২০০৭ পর্যন্ত ৪ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি গেছেন কুয়েতে
.২০০৭-এ বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেয় কুয়েত
.২০১৪ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, ২০১৬-তে আবার নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ আল জারাহ বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি আদেশ জারি করেছেন। এ নির্দেশ মানার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে কুয়েতের দৈনিক আল জারেদার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। দৈনিক আল জারেদাকে উদ্ধৃত করে আজ সোমবার এ খবর দিয়েছে গালফ নিউজ।

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ওই দৈনিকের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর বাংলাদেশিদের ‘রেসিডেন্সি পারমিটের’ সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। পাশাপাশি নানা ধরনের অনিয়ম এবং কর্মক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কুয়েতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মূলত নানা ধরনের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে এ প্রতিবেদন অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলেও বলা হচ্ছে।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর এক তথ্যমতে, ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে শুরু করে কুয়েত। ২০০৭ সাল পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত ছিল। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক নিয়েছে উপসাগরীয় দেশ কুয়েত। ২০০৭ সালে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেয় কুয়েত। নিয়োগে অনিয়ম এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে কুয়েত ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।

এরপরই দেশটিতে আবার কাজের সুযোগ মেলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের। কিন্তু ২০১৬ সালের মে মাসে অনিয়মসংক্রান্ত নানান অভিযোগ পায় দেশটির নিরাপত্তা বিভাগের এ প্রতিবেদন থেকে। এরপরই পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কুয়েত সরকার। ২০১৬ সালে কুয়েতে দুই লাখ বাংলাদেশি ছিলেন।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০: ৫৫ এ.এম ৬মার্চ,২০১৮ মঙ্গলবার
এএস.

Share