বহুল সমালোচিত শাহরাস্তির সেফুদার বিচার শুরু

বহুল সমালোচিত ও বিতর্কিত অস্ট্রিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেছেন আদালত। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির বিচার শুরু হলো।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বুধবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি বলে জানিয়েছেন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম।

আরও পড়ুন…   চাঁদপুরের কলঙ্ক সেফাত উল্লাহকে ২৫ বছর আগে ত্যাজ্য করেন আলী আকবর

গত ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন) মামলাটি দায়ের করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এসআই পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী আসামি সেফাতউল্লাহ সেফুদার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

তদন্ত কর্মকর্তা ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আসামি সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা অনলাইনে একাধিকবার বিভিন্নভাবে ভিডিও আপলোড করেছেন, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও গালিগালাজ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। এতে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারার অপরাধের শামিল। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতের বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হলো।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ১৩ নং সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চেড়িয়ারা গ্রামের মৃত হাজী আলী আকবরের পুত্র।

দাম্পত্য জীবনে আলী আকবর তিনটি বিয়ে করেন। সব ঘরে মিলে তাঁর ১৫ জনের অধিক সন্তান রয়েছে। সেফাত উল্লাহর আপন ভাই-বোনের সংখ্যা ৮ জন বলে জানা গেছে। তবে কারও সাথে তার সর্ম্পক নেই।

পারিবারিক জীবনে সেফাত উল্লাহর এক সন্তান রয়েছে। সেও আছে ইংল্যান্ডে। তার স্ত্রী ঢাকায় থাকেন। প্রায় ২২ বছর পূর্বে সেফুদা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যায়।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান পরিবারের অবাধ্য এই সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত প্রতিবন্ধী।

Share