চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বসতঘর ভাংচুর করে ৭০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে অভিযোগকারী পরিবার রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
পরিবারের পক্ষে পুত্রবধু শাহিন বেগম ওই সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহিন বেগম তার লিখিত বক্তব্যে জানান, তার স্বামীর বাড়ি উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের আহম্মদনগর মুন্সি বাড়িতে গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই ইউপি’র কুরকামতা গ্রামের মৃত আবদুর রবের পুত্র তুহিন খান ও তার সহযোগীরা মিলে স্বামীর বসত বাড়িতে প্রবেশ করে ভাংচুর করে।
তারা ওই সময় আমাদের বসত ঘরের বিল্ডিংয়ের জানালার থাই গ্লাস, দরজা, ড্রেসিং টেবিল, বিল্ডিংয়ের বেন্টিলিটার, টিউবওয়েল, টয়লেট, পাকের ঘর, আধাপাকা ঘর ও একটি একচালা ঘর সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে।
এছাড়া তারা ঘরের ভেতরে থাকা স্টিলের সুকেইচ ভাংচুর করে বিভিন্ন মূল্যবান কাগজপত্র, সম্পত্তির দলিল, স্বর্ণালংকার, সুকেইচের ড্রয়ারে রক্ষিত নগদ ৭০ লাখ টাক হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয় ওই সময় বসতঘর ভাংচুর করে ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়। ওই সময় তাদের কর্মকান্ডে বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা শাহিন বেগমের পরিধেয় বস্ত্র টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানী ও কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
ওই সময় তাদের সন্ত্রাসী হামলায় আমার শ্বশুড় আবুল হাশেম, শ্বাশুড়ী ফাতেমা বেগম ও আমার পুত্র সন্তান মিজানুর রহমান পিয়াস আহত হয়।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় খিলাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে হাজির হয়। উল্লেখিতরা পুলিশের সামনেই একইভাবে ভাংচুর ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ করা হয়।
পরে শাহরাস্তি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মোঃ নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা তার উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরদিন ১৬ এপ্রিল পুলিশ শাহিন বেগমের শ্বশুরকে ছেড়ে দেয়। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে শাহিন ও তার স্বামীর পরিবারের লোকজন জীবন বাঁচানোর তাগিদে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে শাহিন বেগম আরো জানান, আহত হওয়ার পর তাদের ভয়ে পালিয়ে থাকায় আমরা চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে পারিনি। রোববার গোপনে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করি।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট ১১:২০ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৬, রোববার
ডিএইচ