শীর্ষ সংবাদ

ফরিদগঞ্জে দুবৃর্ত্তরা গুলি বর্ষণ করে বসতঘরে আগুন, আহত ৬

গুলি করে আতংক সৃষ্টি করে একটি বসতঘরে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া এবং ১২টি বসত ঘর ভেঙ্গে তচনছ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি দুবৃর্ত্তরা। ওই বাড়ির দুটি গোয়ালঘর থেকে ৭টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। এই সময় দুবৃর্ত্তদের বাঁধা দিতে গিয়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের ৩ সদস্যসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়।

২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে ফরিদগঞ্জের ১১নং চরদু:খিয়া পুর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের বেপারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করতে পারে নি।

সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন জানায়, পশ্চিম সন্তোষপুর গ্রামের সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ এর সাথে একই বাড়ির প্রবাসী লোকমান হোসেনের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। বিরোধ নিরসনে স্থানীয় ভাবে একাধিক শালিসী বৈঠক হলেও তা নিষ্পত্তি হয় নি।

সর্বশেষ সোমবার অস্ত্রধারী একদল দুবৃর্ত্ত হঠাৎ করেই ওই বাড়িতে হামলা করে।

ব্যাকং কর্মকর্তা নুরু মোহাম্মদ এর মেয়ে শাহানাজ আক্তার লিজা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, এমরান হোসেন ভূইয়ার নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী তাদের বাড়িতে হামলা করে। তারা গুলি ছুড়ে এবং আমার বাবা নুর মোহাম্মদের বসত ঘরটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তারেদর বাঁধা দিতে গেলে বাবা নুর মোহাম্মদ ও তিন ভাই গিয়াস উদ্দিন(৩৫), প্রতিবন্ধী জুয়েল (২০) এবং সিহাব (২৪)কে কুপিয়ে আহত করে।

এছাড়া ওই বাড়ির শাহজাহান মাষ্টার, মোক্তার আহমেদ, তোফায়েল, আলী হোসেন, আলমগীর , অলিউল্যা, মো: সেলিম, তাজুল ইসলাম, নেছার আহাম্মদ , হুমায়ুন ও জহিরেরসহ ১২টি বসত ঘর কুপিয়ে ও ভেঙ্গে তচনছ করে ফেলে। নুর মোহাম্মদের গোয়াল ঘর থেকে ৬টি গরু এবং ওই বাড়ির নেছার আহাম্মদের ১টি গরু নিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা। হামলা চলাকালে শাহজাহান মাষ্টার( ৫২) এমরান ভূঁইয়া নামে আরো দুইজন আহত হয়।

স্থানীয় লোকজন জানায়, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ এর কাছে এলাকার মানুষের ৫শতাধিক জমির দলির গচ্ছিত ছিল। তার ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ফলে সমস্ত দলির পুড়ে গেছে। এছাড়া নগদ প্রায় ৫লক্ষসহ অন্তত ১০ লক্ষাধিক সম্পদ ভষ্মীভূত হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জানায়, ঘটনার ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে গুলি বর্ষণ ও সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তান্ডব চালানোর ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাও. ইকরাম হোসেন হামিদ জানান, এটি কোন মতেই মেনে নেয়া যায়। এভাবে হামলা ও লুটতরাজকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, ঘটনা শুনে ফোর্স নিয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে কাউকে আটক করতে পারি নি।

প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Share