Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / বলাখাল জেএন স্কুলে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ
Obijog

বলাখাল জেএন স্কুলে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ

হাজীগঞ্জের বলাখাল জেএন স্কুল এন্ড কারিগরি কলেজের লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করার পূর্বেই গোপনে কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রার্থীদের অভিযোগ।

কমিটির অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদারকে অবহিত করেছেন নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থীরা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বলাখাল জেএন স্কুল এন্ড কলেজের লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেছেন ৪ জন প্রার্থী।

নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন ইউএনও ও প্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, মাতৃপীঠ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ডিজির প্রতিনিধি উত্তম কুমার সাহা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহআলী রেজা আশ্রাফি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ও বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবু তাহের।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার লিখিত পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই ম্যানেজিং কমিটির লোকদের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার গুঞ্জন উঠে।

এরপর মৌখিক পরীক্ষা অংশ গ্রহণের পর ইউএনও’র কার্যালয়ে ফলাফল ঘোষণার ১ ঘন্টার পূর্বেই উর্ত্তীন্ন প্রার্থীর ফলাফল ফাঁস হয়ে যায়।

এতে প্রার্থী ও তাদের পরিবারের উপস্থিত সদস্যদের মাঝে অর্থ বানিজ্যে’র বিষয়টি নিয়ে হৈ হুল্লুর পড়ে যায়। তখনই ম্যানেজিং কমিটির অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি ফাঁস হয়।

অভিযোগ উঠেছে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে বলাখাল গ্রামের সোহরাব হোসেন নামের এক প্রার্থীর কাছ থেকে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ সম্পূর্ন করে দিবেন বলে অর্থ হাতিয়ে নেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ও সাখাওয়াত হোসেন।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আবু তাহের উর্ত্তীন প্রার্থীর কাছ থেকে গোপনে ৬ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে দেন বলে অভিযোগ উঠে।

অধ্যক্ষ আবু তাহেরের নিয়োগ পরিক্ষার প্রশ্নের উত্তরে সহযোগিতা উপলব্দি করেন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা। আর এ বিষযে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষর অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আবু তাহের এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি আমি কিছুই জানিনা। আমরা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে বিপ্লব কুমার দে’কে ফলাফলের ভিক্তিতে নিয়েছি।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান অর্থ নেয়ার বিষয়টি শিকার করে বলেন, যার কাছ থেকে অর্থ নিয়েছি সে টাকা আমরা দিয়ে দেব। তবে বৃহস্পতিবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাকা ফেরত না দিয়ে আগামি সোমবার পর্যন্ত সোহরাবের পরিবারের লোকদের কাছ থেকে সময় নিয়েছেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার বলেন, আমি অনেক পূর্বে থেকেই অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি গুঞ্জন আকারে শুনেছি, লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি।

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়
: আপডেট, বাংলাদেশ ৯ : ০০ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৭ শুক্রবার
এইউ

Leave a Reply