হাজীগঞ্জ

বলাখাল জেএন উবি’র সম্মুখে পিলার স্থানান্তরের অভিযোগ

চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এর সীমানা পিলার রাতের আধারে স্থানান্তরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৭ মার্চ দিবাগত রাতে কোন এক সময়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বলাখাল জে এন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজের সম্মুখে (সওজ) কর্তৃপক্ষের দেয়া সীমানা পিলারটি নির্ধারিত স্থান থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ দূরে স্থানান্তরিত করা হয়।

স্থানীয়দের দাবী জেএন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজ কর্তৃপক্ষ পিলারটি স্থানান্তর করেছে। তবে এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু জানেনা বলে সংবাদকর্মীদের জানান। হাজীগঞ্জ উপ-সড়ক বিভাগের কার্য-সহকারী আব্দুস সালাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

জানা যায়, বলাখাল জে এন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজের সামনে সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্থানে দোহা ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ছিল। চলতি বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানের নতুন একাডেমীক ভবন নির্মাণের লক্ষে অধ্যক্ষসহ ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে দোহা টেড্রার্স উচ্ছেদে ক্ষতিপূরন বাবদ ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পরবর্তীতে এ সিদ্ধান্তটি পরিবর্তন করে অজানা কারনে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের ডাক দেয়। ওই সময়ে সহকারি শিক্ষক সরোয়ারের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে।

যদি ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুবিশ আইনজীবী বিল্লাল মিজি উল্লেখিত অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, এরকম কিছুই ঘটেনি। ওইদিন স্যারকে অনুরোধ করেছি, শিক্ষার্থীদের যেন সড়কে না নামানো হয়। এতে জনসাধারনের ভোগান্তির সৃষ্টি হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সড়ক অবরোধ করে।

চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের সার্ভেয়ার মারুফ হোসেন জানান, সওজের সীমানা পিলারটি স্থানান্তরের বিষয়ে শুনেছি। বিষয়টি দেখা হবে। তিনি বলেন, উল্লেখিত স্থানে (দক্ষিণ পাশ) সড়ক থেকে প্রায় ৪৮-৪৯ ফিট ফিতা টেনে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়।

সীমানা পিলার স্থানান্তরের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। পিলার যেখানে ছিলো, এখনো সেখানেই আছে জানি।

জহিরুল ইসলাম জয়,১০ মার্চ ২০২০

Share