১ জুন থেকে চালু হচ্ছে রেল ২ জুন থেকে গণপরিবহন। বলা হচ্ছে সর্বোচ্চ স্বাস্হ্যবিধি মানতে তাদেরকে বাধ্য করা হবে।
প্রশ্ন হলো সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে ৩৫১টি। এরমধ্যে আন্তঃনগর ৯৪, মেইল ১২০ লোকাল ১৩৭। এতো ট্রেন চলাচল করার পরও আন্তঃনগর ট্রেনে হাটার স্হানগুলি অকিরিক্ত যাত্রী উঠার কারনে হাঁটা যেতোনা।
এখন ৮টি ট্রেন দিয়ে যদি যাত্রা শুরু হয। তাহলে বিশ্ব ইজতেমা শেষে যেমন মানুষের জন্য ট্রেন দেখা যায় না কালকেও এমন হবে। বলা হচ্ছে স্বাস্হ্যবিধি রক্ষা করতে অর্ধেক টিকেট বিক্রি করা হবে।
আমাদের দেশে কি এমন ব্যবস্থাপনা আছে টিকেট শো না করলে ট্রেনের দরজা খুলবে না। তাহলে টিকেট ছাড়া এত মানুষকে ট্রেনে উঠা থেকে কি করে ঠেকাবেন? এটা সম্ভব নয়। চালু যখন হচ্ছে সব গুলি ট্র্রেন এক সাথে চালু করলে কি অসুবিধা ছিল?
দেশে যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহন অনেক কম। যার ফলে স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা চট্রগ্রামে অফিসে যাওয়া আসার পিক টাইমে দেখতাম একটি বাস আসার আগেই হুড়োহুড়ি দৌড় আরম্ভ হয়ে যায় কে কার আগে উঠবে। বাসে সিটের সংখ্যা ৪০ হলে যাত্রী উঠতো ৮০ জন।
তারপরে ও মালিকদের লোকসান হতো বলে শুনতাম। এখন স্বাস্হ্য বিধি মেনে যদি চালাতে হয় তাহলে সে ৮০ জনের স্হানে নিতে হবে ২০ জন।
যদি ২০ জন নিয়ে চলাচল করে তাহলে বাকি ৬০ জন লোক কিভাবে যাতায়াত করবে? তাহলে বাকি ৬০ জনকে গাড়ি সুবিধা দিতে হলে এখন যে পরিমাণ গাড়ি আছে আরো তিনগুণ গাড়ি নামাতে হবে। এটাও অসম্ভব।
তাহলে কি মালিকরা লোকসান দিয়ে বাস চালাবে? না তারা ভাড়া ও ডাবল নিবে লোকজন ও ৮০ জন উঠাবে। আর ডাবল ভাড়া নিয়ে অতিরিক্ত লোক উঠানোর কারনে যাত্রী আর বাস স্টাফদের মধ্যে অনেক দুর্ঘটনা ও ঘটবে।আবার যদি কেউ তার স্ত্রী বা সন্তান সহ যাতায়াত করে তাহলেতো সে পাশাপাশি সিটে বসতে পারবে।
তাহলে সেতো এক ভাড়ায়,দুজন যেতে পারবে এটা কি বাসের স্টাফরা মানবে। তাহলে কি হবে?কাজের কাজ কিছুই হবেনা মধ্যখানে যাত্রীদের ডাবল ভাড়া গুণতে হবে।ভাড়া না বাড়িয়ে রাস্তায় বিভিন্ন চাঁদা বন্ধ করলে আরো উত্তম নয় কি?
আমার মতামত হলো সরকারি অফিস গুলি সকাল ৭ টা টা থেকে দুপুর ১১ টা পর্যন্ত, বেসরকারি অফিস আদালত দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত,আর শিল্প কল কারখানা রাত সাড়ে ৯টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত করা হলে তিনটা ভাগ হয়ে যায়। আর এই তিনভাগে হলে এখন ঢাকা শহরে একই সময়ে চলেতা দুই কোটি লোক। আর তিনভাগ করলে ঐ একই সময়ে চলাচল করবে ৬০ কোটি লোক। তাহলে পরিবহনে এবং চলাচলে ৫০% হলেও স্বাস্হ্য বিধি মেনে চলা এবং সম্ভব হবে।
এদিকে দোকান পাট ৪ টা পর্যন্ত খোলা রাখায় মানুষের ভিড় আরো বেশি হচ্ছে। দোকান পাট ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখলে ভীড় অনেক কমে যেতো।
লেখক: উপ-পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ।