পুরুষের প্রতি প্রেম-প্রীতি, শ্রদ্ধা-বিশ্বাস ও ভালোবাসা বুঝি শেষই হয়ে যাচ্ছে মেক্সিকোর মেয়েদের। ‘বজ্জাত’ পুরুষের সঙ্গে জীবনের গাঁটছড়া বাঁধতে আর রাজি নয় অনেক মেয়ে।
অলক্ষুনে পুরুষের টিকি না মাড়িয়ে অসংখ্য মেক্সিকান ললনা এবার দলে দলে প্রাণ-মন-হৃদয় সঁপে দিচ্ছে এক ‘সদা-নীরব’, উচু-লম্বা দশাসই এক প্রেমিককে। যে প্রেমিক কথা বলে না, সব সময় চুপ করে থাকে। যে প্রেমিক প্রতারণা করে না, ঠকায় না, পরকীয়ায় মাতে না, দুর্দিনে ছেড়েও যায় না। অথচ অকাতরে ছায়া দিয়ে, মায়া দিয়ে, নির্ভেজাল অক্সিজেন দিয়ে গোটা পৃথিবীকে আমৃত্যু আপন করে যায়।
হ্যাঁ, মেক্সিকোর মেয়েরা এখন দলে দলে গাছকেই বাহুডোরে মায়াডোরে বাঁধছে। তাও আবার ঘটা করে। সাধারণ আর দশটা বিয়েতে যেমন প্রাদ্রি-পুরোত ডেকে প্রথা ও ধর্মীয় রীতি মেনে আচার অনুষ্ঠান হয়। গাছের সঙ্গে বিয়েতেও তা করা হচ্ছে ষোল আনা। ‘যদিদং হৃদয়ং মম…হৃদয়ং তব’ –জাতীয় মন্ত্রটন্ত্র পাঠও করা হয় প্রাণের আবেগ আর অর্ঘ্য ঢেলে।
‘একটা গাছকে ভালোবাসো’ বা ‘ম্যারি আ ট্রি’ নামের এক অভিনব ক্যাম্পেইন শুরু করেছে প্রকৃতিবান্ধব সংগঠন ‘বেদানি’। পৃথিবী বা বসুন্ধরা নামের আমাদের প্রিয় এই গ্রহকে, এর গাছপালা তরুলতাকে কাঠচোর, তরুঘাতক কাঠব্যবসায়ী মাফিয়াচক্রের করাল কুঠারাঘাত থেকে বাঁচাতেই ‘বেদানি’ শুরু করেছে এক বৃক্ষরক্ষা ক্যাম্পেইন। তারা ‘একটা গাছকে বাসো ভালো’, ‘একটা গাছকে বিয়ে করো ’, ‘গাছ নামের প্রেমিক তোমায় ছেড়ে যাবে না’—এরকম মনকাড়া স্লোগান নিয়ে সুন্দরী ললনাদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছে বেদানি। গাছকে বিয়ে করার জন্যিউদ্বুদ্ধ করছে তরুণীদের।
মজার ব্যাপার, তাতে ব্যাপক সাড়াও মিলেছে দিয়েছে। পাজী পুরুষের চেয়ে শান্ত গাছকেই তারা ঢের যোগ্য প্রেমিক ও বর হিসেবে বেছে নিয়েছে। গাছের সঙ্গে গণবিয়ের এক হৈহৈ রৈ রৈ কাণ্ড হয়ে গেল সেদেশে বেশ ঘটা করে বহু মানুষের উপস্থিতি। মানুষ-কনেদের আর গাছরূপী বরদের গণবিয়ের এই অভিনব আয়োজনে পাদ্রী বা পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন পেরুভীয় অভিনেতা ও প্রকৃতিবাদী বিচার্ড তোরেস।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮: ০০ পি.এম ১মার্চ ২০১৮বৃহস্পতিবার।
কে .এইচ.