সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া দিপু চৌধুরী রাজনীতি ও দেশের মানুষের, বিশেষ করে চাঁদপুরের মতলবের মানুষের, প্রতি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান রাজনৈতিক অঙ্গন।
১৯৭২ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর গ্রামে এক জন্ম গ্রহণ করেন সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু। তার পিতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্র্যাক প্লাটুনের কমান্ডার।
রাজনীতির তিন প্রজন্ম -মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু ও আশফাক চৌধুরী মাহী।
আরও পড়ুন… আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মায়া চৌধুরীর বড় ছেলে দীপু চৌধুরী আর নেই
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে দুবার আওয়ামী লীগ সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত চাঁদপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী।
সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুকে এক নামে চেনেন মতলবের সর্বস্তরের মানুষ। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নেতা ছিলেন নিরহংকারী ও সাদা মনের মানুষ। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু। এছাড়াও তিনি ছিলেন একাধারে সমাজসেবক, ক্রীড়ানুরাগী, ব্যবসায়ী, ধর্মানুরাগী, দানবীর এবং অসহায় মানুষের বন্ধু।
মতলবের সাধারণ মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল বর্ণনাতীত। মতলববাসীর যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে পাশে থেকেছেন বিনা প্রশ্নে। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগেরও ছিলেন সক্রিয়। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে, তথা আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু। তার স্বপ্ন ছিল, টানা পঞ্চমবারের মতো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর আসন অলংকৃত করবেন। এজন্য নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন তিনি। দিপুর চৌধুরী বলেছিলেন, চাঁদপুর-২-এ নৌকাকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দেবেন। সে লক্ষ্যে তিনি এগিয়েও চলেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুকে। এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য গত ১৯ নভেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বাবার সঙ্গে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। যদিও আওয়ামী লীগ থেকে তিনি মনোনয়ন পাননি, পেয়েছেন তার বাবা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।
প্রতিবেদক:খান মোহাম্মদ কামাল, ২ ডিসেম্বর ২০২৩