বন্যার আগাম সতর্ক বার্তা পাঠানোর যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে বগুড়ার প্রকৌশলী মাহমুদুন নবী বিপ্লব। স্বল্প খরচে এ যন্ত্রটি নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় স্থাপন করা হলে প্রতিবছর বন্যা থেকে সম্পদ ও জানমালের ক্ষতি রক্ষা করা সম্ভব।
যন্ত্রটি সম্প্রতি ঢাকার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছে। এছাড়াও যন্ত্রটির সুফল সম্পর্কে বগুড়া ও লালমনিরহাটে সেমিনার করা হয়েছে। এখন সরকারি সহযোগিতা পেলে তা’সারাদেশে ছড়িয়ে দেযা সম্ভব হবে।
উদ্ভাবিত যন্ত্রটির কাজ হচ্ছে নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংকেত পাঠাবে। সে সঙ্গে বন্যার পানি বাড়ার অনেক আগ থেকেই অবিরাম আওয়াজে সতর্ক করবে উপকূলের লোকজনকে। বন্যার সময় ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে নদীর স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক গতিপথ দূর থেকে স্বয়ংক্রিয় এ যন্ত্রটির মাধ্যমে জানা যাবে ।
বিপ্লব জানান, উদ্ভাবিত যন্ত্রটি সৌর বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত। সূর্যের আলো হতে শক্তি সঞ্চয় করে এটি পরিচালিত হবে। রিভার ব্যাংকের নিকটবর্তী সুবিধাজনক স্থানে ২৫ মিটার উচ্চ টাওয়ার এর ওপর সেন্সর ও তিন রংয়ের (লাল, হলুদ, সবুজ)স্বয়ংক্রিয় বাতির মাধ্যমে পানির উচ্চতার তারতম্যের সংকেত চর এলাকার মানুষ জানতে পারবে। এ সিস্টেমে একটি স্বয়ংক্রিয় সেন্সর থাকবে যা পানির উচ্চতার তারতম্যের ফলে টাওয়ারে সংকেত প্রেরণ করবে। তবে,প্রতিটি যন্ত্রে ব্যয় হবে মাত্র পাঁচ-ছয় লাখ টাকা।
যন্ত্রটির উদ্ভাবক বগুড়ার যন্ত্র প্রকৌশলী বিপ্লব বগুড়ার সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাওয়ার বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা করেছেন ১৯৯৫ সালে। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহরের মিরপুর রোডে ‘কাঁকন রেফ্রিজারেটর’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এসি ও ফ্রিজ মেরামত এর কাজ করেন। তার বাবার নাম কলিমউদ্দিন। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত ও চার সন্তানের জনক।
নিউজ ডেস্ক
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৬: ৩৫ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার
এজি