আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস । এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ, বাচাঁও প্রকৃতি, বাঁচাও দেশ’। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত হচ্ছে। এ দিনটিতেই জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ কনফারেন্স শুরূ হয়েছিল ।
এ কনফারেন্স ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৫ জুন নির্ধারিত হয় । এ কনফারেন্স ঐ বছরই চালু করেছিল জাতিসংঘের সাধারণ সভা। তখন থেকেই প্রতি বছর এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি প্রথম পালিত হয ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে।
প্রতি বছরই দিবসটি আলাদা আলাদা শহরে, আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালিত হয। উত্তর গোলার্ধে দিবসটি বসন্তে , আর দক্ষিণ গোলার্ধে দিবসটি শরতে পালিত হয়।
আমাদের দেশে সুন্দরবনসহ ৪০ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী আজ বিপন্ন,অতিবিপন্ন বা সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। বন বিনাশ, পিটিয়ে মারা,শিকার,বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত, পর্যাপ্ত খাবার ও প্রাকৃতিক বন্যা,মহামারি, দুর্যোগ,ঘূণিঝড় ও আশ্রয়ের অভাবে এ সব প্রাণীর সংখ্যা দিন দিন কমছে।
পৃথিবীর বৃহত্তম ৩টি ম্যানগ্রোব এর মধ্যে বাংলাদেশের সুন্দরবন একটি । এর আয়তন ১০ হাজার কি.মি.। আর বাংলাদেশের অংশে রয়েছে ৬ হাজার ১৭ বর্গ কি.মি.। জীববেচিত্র্যের দিক থেকে সুন্দরবনের গুরুত্ব অপরিসীম।
এ বনে ২ শ’৭০ প্রজাতির পাখি,৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৬৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর প্রাণীর আবাস্থল। এর আশ-পাশের লোনা পানিতে রযেছে হাঙ্গর,কুমির,ডলপিন ও ২ শ’৫০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। এ সব প্রাণীকূল ও জীব বৈচিত্র্য
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা পালন করে। জলবায়ূর পরিবর্তন পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ।
পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ওপর রিরূপ প্রতিক্রিয়ায় পরিবেশের দূষণ বাড়ছে । এছাড়াও বায়ু দূষণ, শব্দদূষণ, পানি দূষণ প্রভৃতি দূষণে জনজীবন মারাত্মক ব্যহত হচ্ছে ।
]প্রতিবেদন- আবদুল গনি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৩:০০ এএম, ৫ জুন ২০১৬, রোববার
ডিএইচ