সারাদেশ

বন্ধ হচ্ছে সরকারি টাকায় অহেতুক বিদেশ ভ্রমণ

সরকারি কর্মচারীদের ভ্রমণ ব্যয়ের জন্য বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে,তার অর্ধেক; অর্থাৎ ৫০ % স্থগিত থাকবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আজ রোববার এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে। সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রতি অর্থবছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয় দু’হাজার কোটি টাকা। এ অর্থ অনেক সময় অনেক প্রতিষ্ঠান যৌক্তিকভাবে খরচ করতে পারে না। সেজন্য কোনো এক ছুতোয় সরকারি টাকায় অহেতুক বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটি আর হচ্ছে না। কারণ সরকার এ অর্থবছরে রুটিন ভ্রমণ পরিহারের নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে অপরিহার্য ক্ষেত্রেও বিদেশ ভ্রমণ ব্যয় অর্ধেক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে রোববার (১৯ জুলাই) একটি পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবের কাছে পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।

এ সংক্রান্ত পরিপত্রটিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারের অগ্রাধিকার খাতসমূহে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে ২০২০-২১ অর্থবছরে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে ভ্রমণ ব্যয় খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

‘সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় ভ্রমণখাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা যাবে, তবে সরকারি ভ্রমণের ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থের ৫০% বরাদ্দ স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ অর্ধেক ব্যয় দেয়া হবে। পাশাপাশি সকল প্রকার রুটিন ভ্রমণ পরিহার করতে হবে।’

এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় পরিপত্রে।

বার্তা কক্ষ ,২০ জুলাই ২০২০

Share