শীর্ষ সংবাদ

চাঁদপুর বিএভিএস ৫ বছরে চার হাজার বন্ধ্যাকরণ সেবা প্রদান

চাঁদপুর বিএভিএস হাসপাতাল ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ৫বছরে জন্ম নিয়ন্ত্রণে পুরুষ বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতিতে ১ হাজার ৩৯৭জন, মহিলা বন্ধকরণ ৭জন, ইনপ্লান্ট ১৩৭জন, কপারটি ৯জন, ইঞ্জেকশন ৫৩২ জন, খাওয়ার বড়ি ১১৪৯জন, কনডম ৫৫১ ও অন্যান্য ১০ জনকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন বলে চাঁদপুর টাইমসকে জানিয়েছেন হাসপাতাল বর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সরকারের ২টি খাতের মধ্য থেকে উন্নয়ন খাতের অংশ হিসাবে ১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমানে শহরের স্টেডিয়াম রোডে অস্থায়ী কার্যালয় নিয়ে চাঁদপুরে হাসপাতালটি পরিচালিত হয়ে আসছে। কার্যক্রমের পুরুষ বন্ধকরণ, মহিলা বন্ধকরণ, ইনপ্লান্ট, কপারটি ও কনডম (ডজন আড়াই টাকা) এ ৫টি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফি নেওয়া হলেও ইনজেশন, খাওয়ার বড়ি এবং অন্যান্য সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

হাসপাতালের ডিস্টিক্ট ম্যানেজার ডা. মাহমুদ হাসান চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, মেডিকেল অফিসার এমসিএইচএফপি সদরের মাধ্যমে হাসপাতালে কিছু বরাদ্দ আসে। সেই বরাদ্দ থেকে জন্ম নিয়ন্ত্রণে দু’হাজার টাকা করে নারী-পুরুষদের দিয়ে থাকি। বর্তমানে তা দু’হাজার ৩শ’ টাকায় করা হয়েছে। আগে এ সেবা গ্রহণকারী নারীদের মধ্যে শাড়ী ও পুরুষদের মধ্যে লুঙ্গি বিতরণ করা হত। বর্তমানে কর্তৃপক্ষ সরবরাহ না করার কারণে কার্যক্রমটি বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরোও জানায়, সরকার জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া যে কাউকে এ সেবা প্রদানে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেই মোতাবেক জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে থাকি। এতে করে বহিরাগত অন্যদেশের নাগরিকরা এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ও আমাদের দেশের নাগরিকরা সেবাটি গ্রহণ করতে পারছে।

তিনি বলেন, আমাদের জনবল সংকট ও কিছু সেবা প্রদানে সমস্যা রয়েছে। মা ও শিশু স্বাস্থ্য, নরমাল ডেলিভারী সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও রোগীদের অন্যস্থানে পাঠিয়ে সেই চিকিৎসা সেবাগুলো প্রদান করা হচ্ছে।

প্রতিবেদক-মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ৫৯ পিএম, ২১ মার্চ ২০১৭, মঙ্গলবার
এজি/এইউ

Share