সারাদেশ

বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসলে নেমে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা রাফসানের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর ২৯ মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘোড়ার ঘাট ড্রেজিং পয়েন্টে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।

নিহত রাফসান শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত রেজাউল হকের ছেলে। তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখায় ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

২৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের ঘোড়ার ঘাট সংলগ্ন গড়াই নদীতে পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন রাফসান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, রাফসান তার কুষ্টিয়ার পাঁচ বন্ধু রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হাসিবুর রশিদ তামিম, ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ, কুষ্টিয়া স্যামসাং শো-রুমের ম্যানেজার ফয়সাল ও আব্দুর রশিদকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ঘোড়ার ঘাট সংলগ্ন গড়াই নদীতে গোসলের উদ্দেশ্যে আসেন। বন্ধুরা একসঙ্গে সবাই নদীতে গোসলের জন্য নামেন। এদের মধ্যে তামিম ও রাফসান একটু গভীরে গেলে হঠাৎ করেই তারা দুজনই নদীতে তলিয়ে যান। এ সময় অন্যান্য বন্ধুদের চিৎকারে স্থানীয় মাঝিরা তামিমকে টেনে তুললেও রাফসানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে খুলনা থেকে ডুবুরি দল কুষ্টিয়ায় এসে রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তাকে খুঁজে পায়নি। শুক্রবার সকালে রাফসানের মরদেহ নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে কিছু দুরেই ডেজিং পয়েন্টে ভেসে ওঠে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাফসানের মরদেহটি পানি থেকে ওপরে তোলা হয়। এ সময় তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

রাফসানের বন্ধু হাসিবুর রশিদ তামিম বলেন, রাফসান আর আমি একসাথেই ছিলাম। বাকিরা একটু কম পানিতে ছিল। হঠাৎ করে আমাদের পায়ের তলের বালু সরে যায়। সাঁতার না জানায় আমি ও রাফসান তলিয়ে যাই। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করতে পারলেও রাফসানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে রাফসান তার কর্মস্থল ঈশ্বরদী থেকে কুষ্টিয়া এসেছিলেন। চলতি মাসের ২ তারিখে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ সকালে নদীতে ভেসে উঠেছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

বার্তা কক্ষ,২৯ মে ২০২০

Share