আইনশৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ৩ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীররাতে ও শুক্রবার ভোরে রাজধানীর ঢাকার কদমতলী, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু থানা ও খুলনার কয়রা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহতরা হলেন- ঢাকায় অজ্ঞাত মাদক ব্যবসায়ী (৩৫), ঝিনাইদহে শহিদুল ইসলাম ওরফে পচা (৪৩) ও খুলনা সুন্দরবনের বনদস্যু আনারুল ছানা (৪৫)।
ঢাকায় মাদক ব্যবসায়ী নিহত
রাজধানী ঢাকার কদমতলীতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে কদমতলীর ওয়াসা পানির ট্যাংকের সামনে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো মোবাইল ফোনের এসএমএসে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব। তারা বলছে, নিহত ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, ওয়াসার পানির ট্যাংকের সামনে খোলা জায়গা মাদক কেনাবেচার জন্য ব্যবহার করে মাদক কারবারিরা। কিছুদিন আগে সেখান থেকে পুলিশ অস্ত্রসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল।
তিনি জানান, ভোরে র্যাবের একটি টহল দল ওই স্থানে গেলে সেখানে অবস্থানরত ৬-৭ জন মাদক বিক্রেতা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।
র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে একজন গুলিবিদ্ধ হয়, বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব অধিনায়ক আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, ৫১০টি ইয়াবা ও ২৪ অ্যাম্পুল প্যাথিডিন উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝিনাইদহে নিহত ১
ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডুতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শহিদুল ইসলাম ওরফে পচা (৪৩) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শ্যুটার গান ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
শহিদুল ইসলাম উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পারদখলপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে।
র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্পের ডিউটি অফিসার ওমর ফারুক জানান, উপজেলার ফলশী গ্রামে সন্ত্রাসীরা গোপন বৈঠক করছে- এমন খবরে র্যাবের টহল দল সেখানে অভিযান চালায়।
র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেলে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে শহিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে তার লাশ উদ্ধার করে হরিনাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
এ ঘটনায় দু’জন র্যাব সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন র্যাব কর্মকর্তা ওমর ফারুক।
সুন্দরবনে বনদস্যু নিহত
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আনারুল ছানা (৪৫) নামে এক বনদস্যু নিহত হয়েছেন।
বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের ৩ কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় খুলনার কয়রা উপজেলার খরখরা নদীর দক্ষিণ পাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশী বন্দুক, ৫টি কার্তুজ, দুটি দা জব্দ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কয়রা থানার ওসি শমসের আলী জানান, বৃহস্পতিবার পুলিশ আনারুলকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ।
এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আনারুলের লোকেরা হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়। এ সময় আনারুল ছানাসহ পুলিশের ৩ কনস্টেবল আহত হন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আনারুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আনারুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।
আনারুলের বিরুদ্ধে ৬টি ডাকাতি, ১টি খুন, ১টি অস্ত্র মামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে।(জাস্ট নিউজ)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:৫০ পি,এম ১২ আগস্ট ২০১৬,শুক্রবার
ইব্রাহীম জুয়েল