চাঁদপুরের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র বড় স্টেশন মোলহেড। চাঁদপুরসহ আশপাশের জেলার ভ্রমণপিপাসু মানুষ নিরিবিলি পরিবেশে পরিবার-পরিজন নিয়ে একান্ত কিছু সময় কাটাতে এখানে আসেন। পদ্মা, মেঘনা,ডাকাতিয়া-এ তিন নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসে মানুষ। কিন্তু শহরের এই একমাত্র পর্যটনকেন্দ্রটি এখন অস্থায়ী কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান, ভিক্ষুক আর হকারের দখলে।এতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন দর্শনার্থীরা।
বড় স্টেশন মোলহেডে প্রায় ১শ ভিক্ষুক ও পথশিশু ভিক্ষা করেছে। তারা দর্শনার্থীদের টাকা দেয়ার জন্য জোর প্রয়োগ করছে। যদি কেউ টাকা দিতে না চায় তাহলে তাদের হাত-পা ধরে টানাটানি করছে। অথবা কাপড় টেনে ধরছে। এখানে ঘুরতে আসা অনেককেই এভাবে বিড়ম্বনার শিকার হতে দেখা যায়। মুখ লজ্জায় কেউ কেউ টাকা দিলেও কেউ আবার নিজেকে আড়াল করে নেন। দেখা যায়, একজনকে টাকা দিলে তার কাছে আরও অনেকে এসে হাজির হচ্ছে।
হকারদেরও প্রচুর ভিড়। সারাদিন হাঁটাহাঁটি করে ক্লান্ত হলে সেখানে অবস্থিত সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য রাখা বসার স্থানেই তাদের বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। এতে করে সাধারণ দর্শনার্থীদের অনেক সময় বসার জায়গাটুকুও থাকে না।
দর্শনার্থীরা বললেন, এমন সুন্দর জায়গাটিকে আরও পরিপাটি করে রাখা উচিত। পাশাপাশি হকারদের অবস্থান আলাদাভাবে বাইরে নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ভিক্ষুকদের নিয়েও পরিকল্পনা নেয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
জানা যায়, ভ্রমণপিপাসু মানুষদের স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ নিশ্চিত করতে গতবছর জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খানের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এখন আবার আগের দৃশ্যই বিরাজ করছে জায়গাটি। অনেকে ভ্রাম্যমাণ দোকান স্থাপন করলেও কেউ কেউ আবার স্থায়ী স্থাপনা তৈরির চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, করোনাকালীন সময়ের পর ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য বড় স্টেশন মোলহেড উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু হকারদের অবস্থান নিয়ে বিশেষ কিছু বলা যাচ্ছে না। তারা তো গরিব মানুষ। আর ওখানে পথশিশুদের জন্য স্কুল আছে। স্কুলের কারণে ওখানে পথশিশুরা থাকে। যেটা পর্যটকদের জন্য একটু বিড়ম্বনা তৈরি করে।’
তিনি বলেন, আমরা তারপরও বিষয়টি দেখব। দর্শনার্থীরা যাতে বিড়ম্বনার শিকার না হন, সেজন্য খুব দ্রুতই একটা অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বার্তাকক্ষ, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০;
কে. এইচ