বড়দিনে চাঁদপুরে সকল ব্যাপ্টিস্ট ও ক্যাথলিক চার্চে বর্ণাঢ্য আয়োজন

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন বা ক্রিসমাস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্যদিয়ে বড়দিন উদযাপন করেন।

খুশির এ দিনটিতে আলোকসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তা ক্লজের উপহারে মেতে উঠে শিশু-কিশোরা। বিশেষ এ দিনটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে এদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।

শুভ বড়দিন উপলক্ষে চাঁদপুরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মাঝে ছিলো উৎসবের আমেজ। জেলার ৫টি ব্যাপ্টিস্ট ও ১টি ক্যাথলিক চার্চে নানা আয়োজন করা হয়। এছাড়াও খ্রিস্টান পাড়ার প্রতিটি বাড়ি নতুন আঙ্গিকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত ও স্টার দিয়ে আলোকিত করা হয়। তাদের প্রতিটি পরিবারে ছিলে কেক তৈরি এবং বিশেষ খাবারের আয়োজন।

বাংলাদেশ ব্যাপিস্টিস চার্চ ফেলোশিপ এর সাধারণ সস্পাদক লিয়রপি সরকার বলেন, খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক প্রভু যিশুখ্রিষ্ট এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মতারিখ অনুসারী খ্রিষ্ট ধর্মের মানুষেররা এ দিনটিকে শুভ বড়দিন হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। আমরা বিশ্বাস করি, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।

চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সহযোগী পালক ইন্মানুয়েল সরকার বলেন, আজ সকালে ধর্মীয় উপসানা ও প্রার্থনার মধ্যদিয়ে বড় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সারা দেশ এবং বিদেশ থেকেও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অসংখ্য লোক চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে এসেছেন। এ দিনটিতে আমাদের সম্প্রদায় এবং স্বজনদের একটি মিলনমেলায় পরিনত হয়। তাই সব মিলিয়ে আমাদের কাছে এ দিনটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সম্পাদক রসি বর্মন বলেন, বড়দিন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলায় ৫টি ব্যাপ্টিস্ট চার্চ এবং ১টি ক্যাথলিক চার্চে নানা আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে বড়দিন এবং পূর্ণমিলনী নিয়ে তিন দিনের আয়োজন চলছে। এরমধ্যে ধর্মীয় উপাসনা, প্রীতিভোজ এবং ক্রিসমাস ট্রিসহ নানা আয়োজন রয়েছে। শুভ বড়দিন উপলক্ষে তিনি চাঁদপুরবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। 

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম,২৫ ডিসেম্বর ২০২২

Share