পদ্মায় হঠাৎ বজ্রপাতে বাবাসহ ১২ স্বজনকে হারালেন বর

হঠাৎ বজ্রপাতে বাবাসহ একসঙ্গে ১২ স্বজনকে হারানোর শোকে দিশেহারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বর মো. মামুন। তিনি উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জনতার হাট গ্রামের শরিফুল ইসলামের (৪২) ছেলে। সম্প্রতি তিনি বিয়ে করেন পাশের শিবগঞ্জ উপজেলায়। সেখান থেকে তাঁকে ও তাঁর নববিবাহিত স্ত্রী সুমি খাতুনকে আনতে গিয়ে আজ বুধবার দুপুরে বজ্রপাতের কবলে পড়ে প্রাণ হারান বরপক্ষের ১৬ জন ও দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজনসহ ১৭ জন।

বরের ১২ স্বজন হলেন বাবা সদর উপজেলার জনতার হাট গ্রামের শরিফুল ইসলাম (৪২), চাচাতো ভাই ধুলু মিয়ার ছেলে মো. সজিব (২২), দুলাভাই গোঠাগ্রামের মো. সোহবুল (৩৫), ফুফু বেলিয়ারা বেগম (৩৪), ফুপা টিপু সুলতান (৪০), মহারাজনগর ডাইলপাড়া গ্রামের নানা মো. তোবজুল (৭০), নানি জমিলা বেগম (৬০), খালা লেতন বেগম (৪৫), মামা মো. সাইদুল (৪০), মামি টকিয়ারা বেগম (৩০), মামাতো ভাই মো. বাবু (১৫) ও খালাতো ভাই মো. বাবলু (২২)। বরপক্ষের বাইরে মো. রফিক (৫০) নামে ফেরিঘাটে উপস্থিত শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা গ্রামের একজন মারা যান।

শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তেলিখাড়ি ঘাটে আজ দুপুরে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব-আল-রাব্বি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বরপক্ষের আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার দিন আগে সদর উপজেলার জনতার হাট গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে মো. মামুনের সঙ্গে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের তেরোরশিয়া গ্রামের হোসেন আলীর (৫৫) মেয়ে সুমি খাতুনের (১৮) বিয়ে হয়। আজ বর ও কনেকে আনতে পদ্মা নদী দিয়ে নৌকায় করে কনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বরপক্ষের লোকজন। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা পাঁকা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তেলিখাড়ি ফেরিঘাটে পৌঁছান। বৃষ্টির কারণে নৌকা থেকে একে একে নেমে ঘাটের পাশে ছাউনির নিচে আশ্রয় নিচ্ছিলেন তাঁরা। এ সময় বজ্রপাত হয়। ঘটনাস্থলেই ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন নারী। আহত ১২ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক

Share