Monday, March 30, 2015 11:18:48 PM
চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক :
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুরে ও নওগাঁয় সোমবার বিকেল ও সন্ধ্যায় পৃথক বজ্রপাতে মা-মেয়েসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের বহলাবাড়ী রাধাকান্তপুর গ্রামে সোমবার বিকেলে ঝড়ের সময় ঘরের টিন উড়ে যাওয়া ঠেকানোর কাজ করছিলেন মোফাজ্জাল বিশ্বাসের ছেলে সাইদুর রহমান (২৫)। এ সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এদিকে, সদর উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের সূর্যনায়ণপুর সোনার্দিচরে বজ্রপাতে আশরাফুলের স্ত্রী ফুলেরা বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে ববিতা (৯) মারা যান। সোমবার বিকেলে বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে। নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন জানান, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে মৃত সাইদুরকে নিয়ে তার স্বজনরা হাসপাতালে আসেন।
তিনি আরও জানান, সদর উপজেলা কালিনগর গ্রামের বিসারত আলীর স্ত্রী সমেরা বেগম (৩৫) বজ্রপাতে আহত হয়ে সদর হাসপাতালে আসেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকের কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের সাবানিয়া গ্রামের একরামুল হকের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৫০) বজ্রপাতে মারা গেছেন।
সুন্দরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জানান, বিকেলে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাড়িতে কাজ করছিল রোজিনা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে দিনাজপুর বিরলের ঢেলাপীরে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বজ্রপাতে মনোয়ারা বেগম (৫০) ও মো. মহবুর রহমান (৩২) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হন মহবুর রহমানের স্ত্রী নাসিমা বেগম (২৫) ও ছেলে বাবু (১)।
মনোয়ারা বেগম উপজেলার কালিয়াগঞ্জ গোপিনাথপুর গ্রামের মো. আব্দুল খালেকের স্ত্রী এবং মহবুর রহমান বামনগাঁও গ্রামের মো. আইনুল ইসলামের ছেলে।
বিরল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুজ্জামান জানান, শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে গ্রামে ফেরার পথে উপজেলার ঢেলাপীরে বজ্রপাতে মহবুর রহমান মারা যান। আহত অবস্থায় মনোয়ারা বেগম, নাসিমা বেগম ও বাবুকে বিরল উপজেলা কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। চিকিৎসক মনোয়ারা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই সরকার বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে জেলার ধামইরহাটে বজ্রপাতে ইটভাটার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের রসপুর গ্রামে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইটভাটার শ্রমিকের নাম মাহমুদুল হাসান (৩৫)। তিনি উপজেলার রসপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা আব্দুস সালাম জানান, প্রতিদিনের মতো ইটভাটায় কাজ করছিলেন মাহমুদুল হাসান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। সে সময় মাহমুদুল ইটভাটার কাজ শেষ করে বাড়িতে ফেরার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মাহমুদুল হাসান মারা যান।