বছরে দুইবার নিষেধাজ্ঞা মানলে বাকি সময়টা ইলিশ ধরতে পারবে জেলেরা

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, ইলিশ উৎপাদনে আমরা বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর স্থানে রয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি হওয়ায় আমরা এ স্থানে আসতে পেরেছি। মাছের উৎপাদন বাড়লে জেলেদের আয় রোজগার বৃদ্ধি পাবে এবং জীবন মান উন্নয়ন হবে। তাই সরকারের পক্ষ থেকে অভয়াশ্রম এলাকায় যে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা জেলেদের মানতে হবে এবং সাগর থেকে মিঠা পানিতে আসা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, একজন কৃষক উৎপাদনের জন্য যেমন ৩ থেকে ৪ মাস সময় নেন, জেলেদেরও ইলিশকে বড় হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। বছরে দুইবার নিষেধাজ্ঞা মানলে বাকি সময়টা ইলিশ ধরতে পারবে।

১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে নৌপুলিশ কর্তৃক আয়োজিত ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান’ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, যেসব জেলে নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইলিশ ধরে তাদের পেছনে কাজ করে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। আর এসব ব্যক্তি দাদনদার, অর্থশালী কিংবা যে কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি নৌপুলিশের ওপর হামলা হয়েছে, এটি খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের কাজ দণ্ডনীয় অপরাধ। এটি থেকে জেলেদের বিরত থাকতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌপুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজি শফিকুল ইসলাম।

সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, কাউন্সিলর সফিকুল ইসলাম, জেলা কান্ট্রি ফিশিং বোর্ড সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লিক, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি মালেক দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মানিক দেওয়ান।

পরে শিক্ষামন্ত্রী ও অতিরিক্ত আইজিপি নৌপুলিশের আয়োজনে মেঘনা মোহনা থেকে নৌ-র্যা লিতে অংশগ্রহণ করেন।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৩ অক্টোবর ২০২২

Share