মাছের প্রজনন মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে সকল ধরনের মাছ ধরা বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সামদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর। শনিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে বঙ্গোপসাগরের গভীরে টানা ৬৫ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা।
এ নিষেধাজ্ঞার ফলে কোনো বাণিজ্যিক জাহাজ বঙ্গোপসাগরের ৩ থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরা ধরতে পারবে না। এ অঞ্চলটিকে বাংলাদেশের ইকোনমিক জোন হিসেবে বিবেচিত হয়। আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানান সামদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর।
সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার পর শনিবার গভীর রাতেই অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মাছ ধরায় নিয়োজিত জাহাজগুলো ফিরে এসেছে কিনা, তা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। দেশে ২৪৮টি বড় বাণিজ্যিক মাছ ধরার জাহাজের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০০টি নিয়মিত সমুদ্রে মাছ ধরায় নিয়োজিত থাকে। আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত এসব বাণিজ্যিক জাহাজ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া সমুদ্রে যেকোনো প্রজাতির মাছ ও ক্রাস্টাশিয়ান (চিংড়ি, লবস্টার, কাটলফিশ ইত্যাদি) ধরতে পারবে না। তবে যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক মৎস্যযান এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এই নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক অথীর চন্দ্র দাশ বলেন, কয়েক বছর ধরে মাছের প্রজনন মৌসুমে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক জাহাজগুলোও আইন মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমুদ্র থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে।