বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে আঘান হানতে পারে, এই আশঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৭৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আতিকুল হকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপকূলীয় জেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার এবং শিশু খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত যানবাহন প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্তও হয় সভায়।
এদিকে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া ডেস্ক,২৩ অক্টোবর ২০২০