Home / আবহাওয়া / বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আভাস
Weather

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আভাস

আগামি ১০ থেকে ২০ মে এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আভাস রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ভারতের আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্বে আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল ‘গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম’। বিষয়টি জানিয়েছেন কানাডার সাকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। তবে দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর এ বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত দিতে রাজি নয়। সংস্থাটি বলছে, ১ মে বলা যাবে।

অন্যদিকে জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ গতকাল বুধবার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম যখন পর পর তিন দিন একই স্থানের আশপাশে নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা নির্দেশ করে, সেই নিম্নচাপ বাস্তবেও সৃষ্টি হয়। আর ১ মের মধ্যে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া যাবে প্রকৃতপক্ষে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে কি না। সেই সঙ্গে জানা যাবে, যদি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় তবে তা কোন পথে অগ্রসর হবে ও সম্ভব্য কোন উপকূলে আঘাত করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া কোনো ঘূর্ণিঝড় কী পরিমাণ শক্তিশালী হতে পারে, তা নির্ভর করে নিম্নচাপটি বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ, মধ্য নাকি উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ঝড়টি চলার পথে সমুদ্রপৃষ্ঠে অপেক্ষাকৃত গরম পানির ওপর দিয়ে নাকি ঠাণ্ডা পানির ওপর দিয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে তার ওপরও এর শক্তি নির্ভর করে।’

এদিকে দেশে ৪ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১৯ দিন দাবদাহের পর ২৩ ও ২৪ এপ্রিল তাপমাত্রা কমায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে মানুষ। গত মঙ্গলবার থেকে দেশে আবার দাবদাহ বইছে। এ অবস্থা আরও দুয়েক দিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ টানা তৃতীয় দিন ঢাকা, চট্টগ্রাম,খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী,পাবনা,পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে, তা আরও ‍দু-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মাঝারি পর্যন্ত হলেও চলতি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার,ফেনী,পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি শুধু চলবেই না, দেশের আরও নতুন এলাকায় তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে।

চলতি এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই দেশে গরম পড়তে শুরু করে। এমনিতেই এপ্রিল হলো দেশের উষ্ণতম মাস। এবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড গরম পড়ে। রাজধানী টানা ১৯ দিন ছিল বৃষ্টিহীন। এরপর গত শুক্রবার রাজধানীতে বহু কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়।

২৯ এপ্রিল ২০২৩
এজি