আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি বেলা পৌনে ১১ টার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আসেন।
সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
তিনি বলেন, ‘গত রাত থেকে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। সকালে তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে আসেন। তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শ্বাসকষ্ট ছাড়া তার অন্য কোনো সমস্যা নেই। ’
সকাল সাড়ে ১০ টায় আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদকের অসুস্থতার কারণে সভা স্থগিত রাখা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুল মতিন জানান, ঠান্ডাজনিত কারণে তার কিছুটা শ্বাসকষ্ট হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাসের জানান, স্যারের টেষ্ট করানো হচ্ছে। পরে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভর্তি বা রিলিজ করানো হবে। কয়েক মাস আগে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। এখনো নির্দিষ্ট সময় পরপর তিনি ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে যান।
২ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার বিএসএমএমইউতে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে কাদেরের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।
অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। ভর্তি করা হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে।
কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে ২০ মার্চ কার্ডিও ফেরাসিক সার্জন ডা.শিভাথাসান কুমার গোস্বামীর নেতৃত্বে কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়।
ঢাকা ব্যুরো চীফ ,৩১ জানুয়ারি ২০২০