বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্ব সভায় সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি।
তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কেবলমাত্র বাংলা ও বাঙালির নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন বিশ্ব সম্প্রদায়ের নেতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজে শিশু-কিশোরদের এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (১৭ মার্চ) সকালে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শিশু কিশোর বিশাল সমাবেশ ও শিশু উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ত্রাণ মন্ত্রী মায়া চৌধুরী বলেছেন, শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে, সে আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে এবং সে আদর্শ মেনেই ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু বাঙালির চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তাঁর কর্ম ও আদর্শ জাতির মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অন্তর থেকে বিশ্বাস ও কাজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি বলেছেন,জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু তিলে তিলে নিঃশেষ হওয়া জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। জেল-জুলুম, নির্যাতন ও মৃত্যুর পরোয়ানা কোন কিছুই তাঁর চলার পথকে বাধাগ্রস্থ’ করতে পারেনি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে স্বার্থক করার জন্য বর্তমান প্রজ¥কে দায়িত্ব নিতে হবে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনৈতিক সংগ্রামের আদর্শের অনুসারী হয়ে এদেশের প্রকৃত ইতিহাস আয়ত্ব করে সুনাগরিক হয়ে দেশকে আলোর পথে এগিয়ে নেবে।
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে মায়া চৌধুরী আরও বলেন, বর্তমান শিশু কিশোরদের হাতে একদিন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হবে। শিক্ষার্থীদেরকে সু-শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা অর্জন করে সুনাগরিক হিসেবে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে দেশকে উন্নতির শীর্ষে পৌঁছে দিতে হবে।
আলোচনা সভায় ত্রাণ মন্ত্রী মায়া চৌধুরী বলেছেন শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে আমরা জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করেছি। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানা মানেই বাংলাদেশের ইতিহাসকে জানা, বঙ্গবন্ধুকে জানা মানেই শত্রæ-মিত্রকে জানা, বঙ্গবন্ধুকে জানা মানেই স্বাধীনতা ইতিহাস জানা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে শুধু জানলেই হবে না, ভাষণ দিলেই হবে না, হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
ত্রাণ মন্ত্রী মায়া চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্বপ্ন দেখেছিলেন, আজ তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় সেই পথেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করছে।
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি’র নেতৃত্বে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মাহফুজ মিয়ার পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এ্যাড. রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল আলম জজ, উপজেলঅ পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সরকার ইমন,পিপি এ্যাড. আমান উল্লাহ, মতলব উত্তর থানার ওসি আনোয়ারুল হক, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফা আক্তার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ ডা. ফারুক হোসেন প্রমূখ। এসময় সহকারী কমিশনার ভুমি (এসিল্যান্ড) সুভাশিষ ঘোষ,মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শংকর কুমার সাহা, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি শহীদ উল্যাহ প্রধান, ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন, একেএম শরীফ উল্যাহ সরকার, নূর মোহাম্মদ, লোকমান মুন্সী, আবুল খায়ের,ছেংগারচর পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, উপজেলা যুবলীগ নেতা রাহুল চৌধুরী লুনা, ছেংগারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা, পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খোকন ঢালী, আঃ সালাম খান, আঃ মান্নান বেপারী, মোঃ জহিরুল হক ঢালী, বোরহান উদ্দিন প্রধান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা খোরশেদ আলম প্রমুখ।
সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় শিশু দিবসে কয়েক শত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ ও ইউএনও শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।
প্রতিবেদক- খান মোহাম্মদ কামাল