আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলার হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন হয়েছিল। বাংলার মানুষ জাতির পিতার ডাকে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
সোমবার দুপুরে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনাসভা এবং খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, বঙ্গবন্ধু পরাধীন স্বদেশের অধিকারবঞ্চিত জনতার ক্রোধ ও স্বাধিকারের প্রত্যয়কে হৃদয়ে ধারণ করে জাতিকে স্বাধীনতার সংগ্রামের পথে এগিয়ে নেন।
তিনি বলেন, ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণের পরই বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে জেগে ওঠা জাতির জন্য ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’-জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। স্বাধীনতার সফল স্থপতি। বাংলাদেশের সার্থক রূপকার। জাতির পিতা শুধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেননি, তিনি একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্নও দেখেছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফি।
৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর এবং কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. আব্দুর রহমান মিয়াজীর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাজেদা বেগম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, আব্দুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক এস.কে বাদল, সদস্য মহাইমেন বয়ান, সিরাজুম মুনির টিপু, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আকবর মো. বাবলা প্রমুখ।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জন বিশ্বাস।
টাইমস ডেস্ক/ ২৯ আগস্ট ২০২৩