কচুয়া

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর পাশে প্রতিষ্ঠাতার ছবি টানিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ

চাঁদপুর কচুয়ায় ঐতিহ্যবাহী নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশে ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান মৌলভী ইদ্রিস মিয়ার ছবি সাটানো নিয়ে নানান গুঞ্জন উঠেছে।

তবে স্থানীয়দের দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অথবা তাদের কারো সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে প্রতিষ্ঠাতার ছবি টানানো হয়েছে। সম্প্রতি সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি-টানানো প্রতিষ্ঠাতার ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এসেছে।

তবে বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রাণিত এবং প্রতিষ্ঠাতাকে বিতর্কিত ও সুনাম নষ্ট করতে একটি মহল শুধুমাত্র অপপ্রচার বলে দাবি করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারাধন চন্দ্র ভৌমিক বলেন, আমি ২০১২ সালের এ বিদ্যালয়ে যোগদান করি। প্রতিষ্ঠাতার মহোদয়ের ছবি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়ের অফিসের এক পাশে টানানো রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কে বা কাহারা তা করেছে তা আমার জানা নেই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে কারো তুলনা হয় না। তবে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে প্রতিষ্ঠাতার ছবি ছিলো না। একটি মহল সুকৌশলে প্রতিষ্ঠাতা ও বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করতে ফেসবুকে ছবি পোস্ট দিয়ে অপপ্রচার ও বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আহসান উল্যাহ বাবুল ও সিনিয়র শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, কে বা কাহারা কিভাবে ছবিটি তুলে ফেসবুকে দিয়েছেন তা আমাদের জানা নেই। তারাও দাবি করেন প্রতিষ্ঠাতার ছবিটি পূর্ব পাশের ওয়ালে সাটানো ছিল। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ অফিস সহকারীদের মাঝে কেউ এ ঘটনায় সহযোগিতা করতে পারে বলে অভিযোগ উঠে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মনির হোসেন,মিজানুর রহমান ও অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলাম ও খোরশেদা বেগম জানান, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশে প্রতিষ্ঠাতার ছবি টানানো ছিলো না। এ ঘটনার সাথে তাদের উভয়ের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা প্রশ্ন করলে তারা জানে না বলে অস্বীকার করেন।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার ছেলে,ননন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু মুসা জানান, আমার প্রয়াত বাবা এই ইউনিয়নের ৩৬ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তিনি নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন।

যারা আমার বাবাকে নিয়ে ফেসবুকে মিথ্যা গুজব রটাচ্ছেন এটা খুবই দু:খজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যদি আমার বাবা কোনো অপরাধী হোন তাহলে আইনগত ভাবে যা হবে আমরা তাঁর সন্তান হিসেবে মেনে নিবো। অন্যাথায় প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দোষাীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।

কচুয়া উপজেলা কাজী সমিতির সভাপতি কাজী মো: সফিকুর রহমান বলেন, প্রয়াত মৌলভী ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মানুষের সুখে দু:খে ছিলেন। তিনি নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠাতা করেন।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,১৬ ডিসেম্বর ২০২০

Share