চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল ৫টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ড. মো. নাছিম আক্তার।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাড. ইকবাল বিন বাশার, কাজী শাহাদাত, অধ্যাপক জালাল চৌধুরী, শরীফ চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, চাঁদপুরের পিপি অ্যাড. রতজিত রায়, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন মজুমদার, বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোসারফ হোসেন,এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ইউনুছ বিশ্বাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, করোনার কারনে অনেকদিন পর বড় একটি অনুষ্ঠানে আসতে পেরে ভালো লাগছে। প্রেসক্লাবে আসাটা আমার জন্যে আনন্দের। সংবাদপত্র-সাংবাদিকদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্কে। তাই সাংবাদিকদের যে কোন কাজে আসতে পারলে আমার ভালো লাগে। আজকের এই আয়োজনে আমি গভীর শ্রদ্ধায়, ভালোবায়-কৃতজ্ঞতায় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পচাত্তরে নিহত সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুত্তিযুদদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ সকল গণতন্ত্রবাদী আন্দোলনে নিহতদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মমরণ করছি। করোনায় যাদের হারিয়েছি তাদের স্মরণ করি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ, মৃক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা এই শব্দগুলোর অবিচ্ছেধ্য। বঙ্গবন্ধু শিশু বয়স থেকেই মানুষের প্রতি ভালোবাসা ছিলো। বাল্য বয়সেই তার বইখাতা, জামাকাপড় দরিদ্র মানুষদের দিয়েছেন। এ নিয়ে তার বাবা মা অখুশি হননি, বরং দরিদ্র মানুষের প্রতি তার ভালোবাসাকে তারা উজ্জিবিত করেছিলেন। তিনি তার ছেলেবেলায় শাসন, শোষন, সম্প্রদায়ীকতা দেখেছেন। সে জন্যে ছেলেবেলাতেই তার মধ্যে সাহস সঞ্চারিত হয়েছে। তিনি মানুষে মানুষে সম্প্রীতি গড়ে তুলবার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সর্বভারতী রাজনীর চিত্র তিনি তরুণ বয়সে দেখেছেন। ফলে সেই তরুণ বয়সেই তার মধ্যে রাজনীতিক প্রজ্ঞা সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর যে প্রকৃতঅর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতা হয়নি সেটি তিনি প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন পাকিস্তান কাঠামোতে বাংলাদেশের উন্নতি হওয়া সম্ভব নয়। অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু অনেক পরে স্বাধীরতার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু কথাটি ঠিক না। তিনি সেই গোড়া থেকেই স্বাধীনতার কথা ভেবেছিলেন। তাই তিনি অনেক আগেই ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষের অধিকার আদায়ে আওয়ামী লীগের বিকাশ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই দেশে ইতিহাসও হাইজ্যাক হয়েছিলো। দীর্ঘদিন আমাদের মিথ্যে ইতিহাস শিখানো হয়েছিলো। যারা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস লিখেছেন তারা অন্যে তথ্য লুকিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষা আন্দোলের জন্যে জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধুর তার সতির্থদের নিয়ে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন তার থেকেই ভাষা আন্দোলন। আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল স্বাধীকার আন্দলনে আওয়ামী লীগের অবদান। তিনি স্বাধীনতাকামী বাঙালীকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।।তিনি ৬ দফা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন এই ৬ দফা থেকেই আমরা ১ দফায় পোঁছে যাবো।
ডা. দীপু মনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শীতার সাথে আমি তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মিল পাই। তিনিও বলেছিলেন আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
বঙ্গবন্ধুর শুধু আমাদের ভূখন্ডের ইতিহাসই জানতেন না, তিনি বিশ্বভূখন্ডের ইতিহাসও জানতেন। তা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনে প্রমান মিলে। তিনি অসম্ভব প্রজ্ঞায়, অসম্ভব দুরদর্শীতায় স্বাধীরতার ঘোষণা না দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার জন্যে প্রস্তুত করে গেছেন। সেদিনের ভাষনে তিনি সবকিছুই বলে গিয়েছেন। তিনি মানুষের বঙ্গবন্ধুর ছিলেন। ৭০এর নির্বাচনে সেটি তিনি প্রমান করেছিলেন। সে নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি প্রমান করেছিলেন এই বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে সিদ্ধান্ত নেবার আইনত দাবীদার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালবাসলেও কেবল নিজের জীবনকে ভালোবাসতে পারেননি। তিনি আশপাশের শত্রুদের চিনতে পারেননি। যার ফলে তারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিলো। তারা ভেবেছিলো বঙ্গবন্ধুর পরিবারের একজন সদস্যও বেঁচে থাকলে বাঙলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। তারা বঙ্গবন্ধুর মৃতদেহকেও ভয় পেয়েছিলেন। তাই তারা বঙ্গবন্ধুর লাশটি প্রত্যন্ত গ্রামে অবেহেলায়-অনাদরে দাফন করেছিলো। সেদিন বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য অনুসারী প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, তিনি ঘাতকদের অত্যাচারে অনেককে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
ডা. দীপু মনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান কারফিউ জারি করে ক্ষমতায় ছিলো। সে এন্ট্রি আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে দল গঠন করেছিলো। অনেকে বলে, জিয় না কি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছিলো, রাষ্ট্রক্ষমতা দিয়েছিলো। এই হলো তার বহুদলীয় গণন্ত্র।
বঙ্গবন্ধুর দেয়া পথরেখা ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শিক্ষানীতি, বিজ্ঞানমনস্ক, কারিগরি শিক্ষা, প্রযুক্তিগত শিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আজকেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সাহিত্য- সাংস্কৃতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু প্রাসঙ্গিক। বাঙালীর জীনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। আজকে দেশের যে অগ্রযাত্রা তা বঙ্গবন্ধুর দেখানো রুপরেখারই অংশ। করোনার মহামারিতেও বঙ্গবন্ধুকন্য সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। এখন আর ভাষার জন্যে, দেশের জন্যে রক্ত দিতে হবে না। শুধুমাত্র যার যার অবস্থান থেকে দেশটাকে ভালোবাসলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীকে উচ্চপর্যায়ে পাঠ্য করতে পারবো।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, কলম না থাকলে আমাদের এই দেশ স্বাধীন হতো না। কলমের মাধ্যমে স্বাধীনতাকামী মানুষদের উজ্জিবিত করেছেন। আজকের এই মঞ্চ থেকে আমি কলমযোদ্ধাদের স্যালুট জানাই।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ড. মো. নাছিম আক্তার বলেন, দর্শন হলো এমন একটি গুণ যা ভেতর থেকে নিজেকে উজ্জিবিত করে। সুদর্শন, ইতিবাচক দর্শন। এটি যে দেশে যতটা সে দেশ ততটা উন্নত। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন দেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিলো ইতিবাচক। বাঙালীর মুক্তির জন্যে এই মানুষটি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জীবনের সাড়ে ১২টি বছর তিনি জেলে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যদি চাইতেন তবে তিনি হয়ত মন্ত্রীত্ব পেতেন, বড় শিল্পপতি হতেন- কিন্তু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী হতে পারতেন না। তার পিতা বলেছিলেন রাজনীতি করলেই হবে না, লেখাপড়া করতে হবে। লেখাপড়া ছিলো তার দর্শনের একটা দিক। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও সেই দর্শনকে ধারণ করে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিচ্ছেন। যাতে সহযোগীতা করছেন আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো প্রযুক্তি শিক্ষার কারনে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক উন্নত দেশে খনিজ সম্পদ নেই, কিন্তু খনিজসম্পদ আমদানি করে সেগুলো সঠিক ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতির দর্শনও ছিলো। গবেষণামনষ্ক ছিলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানমনষ্কদের উৎসাহ দিতেন। আমরা যদি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়তে চাই তাহলে প্রযুক্তিগত শিক্ষাকে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর মাদকবিরোধী দর্শন ছিলো। ইউরোপের অনেক দেশ আফ্রিকাসহ পৃথীর অনেক দেশকে মাদকের ঘোরে রেখে তারা ফয়দা লুটছে। আমাদের দেশেও বার্মাসহ প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো মাদক ঢুকিয়েছে। তারা আমাদের ঘুমিয়ে রেখে উন্নয়নের অগ্রযাত্রবে দাবিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে ছিলেন। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন দর্শন ছিলো বঙ্গবন্ধু। দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি সব সময় সোচ্চার ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর দর্শনে চলছে। চাঁদপুর জেলায় ১৫টির অধিক পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। এতে প্রমান করে, এখানকার মানুষ বেশি করে জ্ঞানের চর্চা করে। আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ যদি মেনে চলে তবে আমাদের কেউ আটকায়ে রাখতে পারবে না। এই জাতি যদি মাদককে পরিহার করে তাদের কেউ আটকায়ে রাখতে পারবে না। আমাদের মানীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি অনেক দিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে। একটি দেশ যদি উন্নয়নের শিখরে পৌঁছায় তবে তারা নিজেরাই নিজেদের ভালমন্দ বুঝতে পারবে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা হয়তো স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির জনক পরিকল্পনার মধ্যদিয়ে দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলে। অথচ এই মহান মানুষটিকে পচাত্তরের পনের আগস্টে ঘাতকরা স্বপরিবারে হত্যা করে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমাদের পদ্মসেতু, মেট্রো রেল হয়েছে, রিজার্ভা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শীতায় করোনার এই দুর্যোগ আমরা ভালোবাবে কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় করোনার দুর্যোগে সবসময় আমাদের সাথে ছিলেন। তিনি স্ব-শরীরে থাকতে না পারলেও দূর থেকে সব সময় আমাদের সাথে ছিলেন, পরামর্শ দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি করোনার টেস্টের ল্যাভ করেছেন, অক্সিজেন প্লান্ট করে দিয়েছেন। যখন যা চেয়েছি তিনি করে দিয়েছেন। এজন্যে তার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনার পরামর্শ নিয়ে আমরা কাজ করে চাঁদপুরকে এগিয়ে নিবো।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের সাংবাদিকরা সবসময় উন্নয়নমুখী কাজ করে। নেগেটিভ সাংবাদিকতার প্রবনতা খুবই কম। এই করোনায় সাংবাদিকরা মানুষকে সচেতন করেছেন। মাস্ক, অক্সিজেন সেবা দিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদদের ভালো কাজগুলো তুলে ধরেছেন। আমি বিশ্বাস করি মানুষ ভালো কাজের স্বীকৃতি না পেলে ভালো কাজের উৎসহা হারিয়ে ফেলে। আমি অনুরোধ করবো চাঁদপুর প্রেসক্লাবের এই ধরনের কার্যাক্রম অব্যহত রাখবেন।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পজেটিভ কাজগুলো আমার খুব ভালো লেগেছে। তারা সবসময় ভালো কাজের সাথে আছেন। এটি সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখেন। একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি খুববেশি প্রয়োজন।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কবি ও ছড়াকার ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা ফেরদৌস আরা, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, মির্জা জাকির, লক্ষ্মন চন্দ্র সূত্রধর, এইচএম আহসান উল্লাহ্, যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শান্ত, সপ্তাহিক চাঁদপুর সকালের প্রকাশক ও সম্পাদক অধ্যাপক মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক পার্থনাথ চক্রবর্তী, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন, চাঁদপুর জেলা ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ লতিফ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম রণি, চাঁদপুর জেলা ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একে আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দিন ডালিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন সাংবাদিক হাসান মাহমুদ, গীতা পাঠ করেন লক্ষ্মণ সূত্রধর।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১