চাঁদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও দলীয় কর্মসূচির মধ্য দিয়ে
মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি রোববার সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিকেলে বাদ আসর শহরের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ দোয়া-প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সমবেত স্বরে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মধ্যদিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। পরে সকাল ৮টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেদক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জেলা সংসদসহ অন্যান্য সংগঠন।
দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন পর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১০ জানুয়ারি বাঙালী জাতির ইতিহাসে একটি বিশেষ দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস তাঁকে আটকে রাখা হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ এবং এদেশের মানুষের জন্য তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে দূঃশাসন অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ছিলেন। যার ফলে তিনি অসংখ্য বার কারাভোগ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারতেন না। একটি সুখী সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, আজকের এই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আদর আনন্দের এবং তাৎপর্যময় দিন। পাকিস্তানের বন্দীদশায় দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর আজকের এই দিনে মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পা রাখেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যেই স্বাধীন বাংলাদেশের আজন্ম লালিত স্বপ্ন তিনি ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর দীর্ঘ রাজনীতিক জীবনের পরিক্রমায় এদেশের ঘুমন্ত বাঙালিকে জাগ্রত করে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু এমন একটি বাংলাদেশ চেয়ে ছিলেন, যেখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। কিন্তু স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা সেই স্বপ্নকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। হাজার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। স্বাধীনতার সেই পরাজিত শক্তিরা এখনো নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা এ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে যাকে হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সকল অপশক্তি কে পাশ কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রব ভূঁইয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল আমিন সরকার, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজী, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম সালাউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের
সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উল্লাহ কোম্পানি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সালা উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন সরকার, সাবেক সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কালু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন মো. বাবর, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু পাটোয়ারী, ঝন্টু দাস, জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, সিরাজ গাজীসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ,স্বেচ্ছাসেদক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী সহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা।
প্রতিবেদকঃআশিক বিন রহিম,১০ জানুয়ারি ২০২১