শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ছিল গণমুখী ও কর্মমুখী। তিনি কারিগরি শিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন।
মন্ত্রী মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন শীর্ষক ’ এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।’
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এবং স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সারা বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ যুক্ত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন মেনিফেস্টোতে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করার অঙ্গীকার ছিল। বঙ্গবন্ধু চাইতেন অর্থাভাবে যেন কোন ব্যক্তি শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় ।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলতেন সুস্থ সমাজ নির্মাণে শিক্ষায় বিনিয়োগের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ আর নাই। তিনি শিক্ষায় জাতীয় উৎপাদনের শতকরা ৪ ভাগ বিনিয়োগের কথা বলেছিলেন। শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার কারিকুলাম পরিবর্তন,শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতার উপর গুরুত্বারোপ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তাদেরকে যোগাযোগে দক্ষ, সমস্যা সমাধানে দক্ষ, সততা, নিষ্ঠা পরমত সহিষ্ণুতা প্রভৃতি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।’
এ ক্ষেত্রে শিক্ষকের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ শিক্ষকরা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। প্রতিনিয়ত আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় পরিবর্তন হচ্ছে। শিক্ষকদের এ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে হবে।’ শুধুমাত্র শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সীমাবদ্ধ না থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সফট স্কিল অর্জনে শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা দিতে তিনি আহবান জানান।
বার্তা কক্ষ , ১৯ আগস্ট ২০২০