কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুই মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
৬ ডিসেম্বর শনিবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ার যুগিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে ভালো খবর দেয়া যাবে।
এ ব্যাপারে রোববার দুপুরে কুষ্টিয়া প্রেস ব্রিফ্রিং করে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
তবে একাধিক সূত্র বলছে, ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদ্রাসা থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত দুই ছাত্রকে আটক করেছেন।
এদিকে যুগান্তরের হাতে আসা সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার রাত ২টা ১৬ মিনিটে জুব্বা ও টুপি পরিহিত দুই যুবক মই বেয়ে নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের ওপর উঠে শক্ত কিছু দিয়ে ভাঙচুর করছে।
কয়েক সেকেন্ড ভাঙচুর শেষে তারা মই বেড়ে নিচে নেমে নির্বিঘ্নে চলে যাচ্ছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে রোববার বিকাল ৩টায় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার পর কুষ্টিয়া শহরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দফায় দফায় ভাঙচুর ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
হামলার ছবি তুলতে গিয়ে দুই গণমাধ্যমকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুরসহ কুষ্টিয়া শহরে বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাওয়ায় জেলা শহরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। শুক্রবার রাতে কোনো একসময় ভাস্কর্যটির ডান হাত, পুরো মুখ ও বাম হাতের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলা হয়। এর প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন, মশাল মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন।
ঢাকা ব্যুরো চীফ,৬ ডিসেম্বর ২০২০