চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমাম গনি পাটওয়ারী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনসংগ্রাম বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে চাই আমরা। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি পদক্ষেপে বুদ্ধি, পরামর্শ, অর্থ ও প্রেরণা যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেছা মুজিব।
বুধবার (১১ মে) সকালে চাঁদপুর মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দি পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতির জন্য তাদের দু’জনের অসামান্য আত্মত্যাগের কথা বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানে না। তাদেরকে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন। একই সাথে দেশের ফুটবলের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা এই টুর্নামেন্টের আরেকটি লক্ষ্য।’
এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ মৈশাদী ইউনিয়ন পর্যায়ে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া সত্ত্বেও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্র্তাদের অনুপস্থিতি দুঃখজনক ও হতাশাজনক। তাদের এই অনুপস্থিতি রহস্যজনক। এটা মেনে নেওয়া যায় না। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে চাকুরি করে, সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করে যারা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাকে অবজ্ঞা করার সাহস দেখায় তাদের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শরীফ চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা পরিষদ সদস্য মো. নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী। শাহতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মৈশাদী ইউনিয়ন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন।
বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রানার্সআপ হয়েছে মৈশাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হামানকর্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রানার্সআপ হয়েছে উত্তর-পশ্চিম মৈশাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চ্যাম্পিয়ন দল উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
এরপর চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ রালদিয়ায় কওমী মাদ্রাসা পরিদর্শনে যান তিনি।
সেখানে ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে যেয়ে আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী বলেন, বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষার প্রচার-প্রসারে কওমী মাদ্রাসাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলেম-ওলামাদের সাথে সুসম্পর্ক রেখেছেন। কওমী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি তাঁর আস্থা ছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনাও কওমী শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। অথচ ধর্ম ব্যবসায়ী একটি চক্র আওয়ামী লীগের সাথে আলেম-ওলামাদের দূরত্ব সৃষ্টি পাঁয়তারা করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম কখনো জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে সমর্থন করে না। ইসলাম ও মুসলমানদের হেয় করতে আন্তর্জাতিক চক্র জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। প্রকৃত মুসলমান জঙ্গি হতে পারে না। ইসলামের আদর্শ দিয়েই জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে হবে।
করেসপন্ডেন্ট
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২: ৫০ এএম, ১১ মে ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ