জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে জাতির পিতা শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। আমার কাছে একটা প্রস্তাব এসেছে, শান্তি পুরস্কার আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়ার। আমরা অবশ্যই এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে সারা বিশ্বে যারা শান্তির জন্য কাজ করবে এবং দেশে যারা শান্তির জন্য কাজ করবে তাদেরকে অবশ্যই আমরা সম্মান দেবো। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ শান্তি পুরস্কার এটা আমরা দেওয়ার ব্যবস্থা নেবো। এইটুকু আমি বলতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা শান্তি চাই এবং শান্তির পথেই আমরা এগিয়ে যাবো। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’ জাতির পিতার এ নীতিতে আমরা এখনো চলি। তিনি বলেন, বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক, শান্তির মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান হোক।
সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘যেদিন নীল মেঘ, নীল আকাশের বুকে ঝাকে ঝাকে শ্বেত কপোতেরা বিনা দ্বিধায় ঘুরে বেরাবে, যেদিন দুষ্ট বাজপাখি শ্বেত কপোতের ডানা ভাঙার জন্য ছু মারবে না, সেই দিনই বিশ্বে নেমে আসবে শান্তির বারিধারা।’
শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রয়েছে বলেই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে। স্থিতিশীল পরিস্থিতি না থাকলে এটা সম্ভব হতো না।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় শান্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই। যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ ছিল; সেটা আমরা ১৮ দশমিক ৭ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। হতদরিদ্র ছিল ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ, এটা আমরা ৫ দশমিক ৬ ভাগে আনতে পেরেছি। এ দেশের কোনো মানুষ হতদরিদ্র থাকবে না, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না; প্রতিটি মানুষ তার মৌলিক অধিকার পাবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। ২০০৮-এর পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আজকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, দীর্ঘসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল বলেই তা সম্ভব হয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে।
২৮ মে ২০২৩
এজি