Home / চাঁদপুর / বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে : ডিসি
বঙ্গবন্ধুর
বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে : ডিসি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুরে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ মে রোববার সকালে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ আয়োজন করে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই সল্প সময়েই তিনি জাতির দিকরেখা স্বরুপ প্রনয়ণ করে গিয়েছেন সংবিধানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় আইন কানুন। গ্রথিত করে গিয়েছেন রাষ্ট্রের বিভিন্ন অতাবশ্যাকীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রয়োজনীয় অনুসর্গ। তাঁর দিক নির্দেশনায় জাতি পেয়েছিলো পথাচলার আদর্শ। বঙ্গবন্ধু তার কথা রেখেছেন। তিনি জীবন দিয়েছেন কিন্তু আপসের পথে হাঁটেন নি। বঙ্গবন্ধু শরীরী উপস্থিতি আমাদের সঙ্গে নেই। তাঁর আদর্শকে আমাদের বুকে ধারণ করবো। আজকের আলোচনার অংশগুলো যদি শিক্ষার্থীরা বুকে ধারণ করে তাহলেই এ অনুষ্ঠানের সার্থকতা।’

ডিসি বলেন, ১৯৫৬ সালের ৫-৯ এপ্রিল স্টকহোমে বিশ্ব শান্তি পরিষদের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘বিশ্ব শান্তি আমার জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যেকোনো স্থানেই হোক না কেন, তাঁদের সঙ্গে আমি রয়েছি। আমরা চাই বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক, তাকে সুসংহত করা হোক।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এ সম্মান কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়। এ সম্মান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী শহীদদের, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানীদের। জুলিও কুরি শান্তি পদক সমগ্র বাঙালি জাতির।’ মুক্তিযুদ্ধের অনেক আগেই ১৯৬৯ সালে বাঙ্গালির মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সরকারের দৃঢ় অবস্থান ছিল কোনো সামরিক জোটে যোগ না দেয়া। তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘আমরা সর্বপ্রকার অস্ত্র প্রতিযোগিতার পরিবর্তে দুনিয়ার সকল শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে বিশ্বাসী বলেই বিশ্বের সব দেশ ও জাতির বন্ধুত্ব কামনা করি। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এই নীতিতে আমরা আস্থাশীল। তাই সামরিক জোটগুলোর বাইরে থেকে সক্রিয় নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি আমরা অনুসরণ করে চলেছি।’

অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবু। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের স্মারক ডাক টিকেট জেলার ১০ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

এছাড়াও আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। সবশেষে জেলা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ২৮ মে ২০২৩