বঙ্গবন্ধুকে ডিগ্রি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ধন্য: শিক্ষামন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ধন্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করায় তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বঙ্গবন্ধুকে বহিষ্কার করে।

সেই বঙ্গবন্ধুই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। ফলে বঙ্গবন্ধুকে ডিগ্রি প্রদান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ধন্য হয়েছে।
রোববার (২৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বঙ্গবন্ধুর ডিগ্রি তার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের প্রতিবাদে মুখর ছিলেন। সাধারণ মানুষের অসহায়ত্বে এগিয়ে আসতেন তিনি। তার শিক্ষক হামিদ স্যারের কাছ থেকে সমাজকল্যাণের দীক্ষা পেয়েছেন। কলেজ জীবনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক সান্নিধ্য পেয়েছেন। তিনি অবিভক্ত বাংলার স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতেন, যদিও তা অধরাই থেকে গেল।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন এই রাষ্ট্র বাঙালির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা দিতে পারবে না। তিনি একে একে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। বারবার নির্যাতনে তিনি থেমে যাননি। পাকিস্তান হওয়ার পর প্রথম আঘাত আসে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর। তা প্রতিহতে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়েছেন। কোনো প্রলোভন তাকে আপস করাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেণুকে, যিনি সব প্রতিকূলতা হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছিলেন।

দীপু মনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত আমরা যতটা এগিয়েছি তার পেছনে মূলমন্ত্র একটিই, বঙ্গবন্ধুর বাণী ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না’। তার মতো করেই তার কন্যা স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পিতার শিক্ষানীতি তার কাজে প্রতিফলিত হয় ৷ তিনি মনে করেন, ছাত্রসমাজের ওপরই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, প্রযুক্তি ও জ্ঞাননির্ভর, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা অপরিহার্য। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এর গবেষণা-অবকাঠামো পুনর্বিন্যাস জরুরি।

অনুষ্ঠানে অরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

টাইমস ডেস্ক/ ২৯ অক্টোবর ২০২৩

Share